আব্দুল মালেকঃ
উলিপুর উপজেলায় মজুরি বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন নারী শ্রমিকেরা। নারী শ্রমিকরা এখনো পুরুষ শ্রমিকের চেয়ে কম মজুরি পাচ্ছেন। কাজে ফাঁকি দেয়ার প্রবণতা কম থাকায় দিনদিন বিভিন্ন কাজে নারী শ্রমিকের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
জানা গেছে, চলতি মৌসুমে বোরো ধান কাটা অপরিসীম হয়ে পড়েছে। এতে তীব্র শ্রমিক সংকট দেখা দিলে নারী শ্রমিকেরা জড়িয়ে পড়েন এ কাজে। পুরুষ দিনমজুরা বেশি পারিশ্রমিকের আশায় দেশের বিভিন্ন জায়গায় চলে যাওয়ায় স্থানীয় গৃহস্থের একমাত্র ভরসা নারী শ্রমিক। অস্বচ্ছল পরিবার, স্বামী পরিত্যাক্তা, বিধবা ও অভাব অনাটনে জড়িয়ে থাকা এসকল নারীরা শ্রম বিক্রি করতে গেলে এ সুযোগ নিয়ে গৃহস্থরা তাদেরকে সঠিক মজুরি না দিয়ে স্বল্প মজুরি দিয়ে কাজ করে নিচ্ছেন।
এদিকে পুরুষ শ্রমিকেরা প্রতিদিন ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা হারে মজুরি পান। একই কাজে নারী শ্রমিকেরা ১৮০ থেকে ২০০ টাকা মজুরি পাচ্ছেন। এতে করে পুরুষ শ্রমিকের চেয়ে নারী শ্রমিকের চাহিদা দিনদিন বৃদ্ধি পেলেও বাড়ছেনা তাদের মজুরি।
উপজেলার পান্ডুল ইউনিয়নের শ্রমিক সুফিয়া বেগম (৪৫), শাহানাজ বেগম (৩৮), মালতি বেওয়া (৫০), হাতিয়ার সাহেরা বেওয়া (৫৫), সহিদা (৩৫), দলদলিয়া ইউনিয়নের জাহেরা (৫০) পৌরসভার নারিকেল বাড়ি গ্রামের কাজলী (৪৫), হাজেরা বেওয়া (৫০), আয়শাসহ (৪৫) অনেকে জানান, ক্ষেতে খামারে যেভাবে পরিশ্রম করি তার তুলনায় আমাদের মজুরি অতি সামান্য।