আব্দুল মালেকঃ
উলিপুরে ব্রহ্মপূত্র নদের ভাঙনে ৭১-এর গণহত্যার বদ্ধভূুমি দাগারকুঠি (সিএলপি) গ্রামটি আবারও নদী গর্ভে বিলিন হয়েছে। গত ২ সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় দুই শতাধিক পরিবারের বাড়ীঘর ও দাগারকুঠি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভেঙ্গে গেছে। ভাঙন কবলিত মানুষজন তাদের ঘরবাড়ী অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছেন। হাতিয়া ইউপি চেয়ারম্যান বিএম আবুল হোসেন বিএসসি জানান, দাগারকুঠি গ্রামটি এর আগে ব্রহ্মপূত্র নদের ভাঙ্গনে বিলিন হলে এমজেএসকেএস নামের একটি এনজিও সিএলপি প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রামটি তৈরি করে ৭১ এর গনহত্যার শিকার পরিবার গুলোর সদস্যদের ঠাঁই করে দেয়। গত ২ সপ্তাহের প্রবল ভাঙনে শেষ স্মৃতিটুকুও মানচিত্র থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে। ফলে এ গ্রামের প্রায় ২ শতাধিক পরিবার তাদের ভিটামাটি হারিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে।
জানা গেছে, উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজরিত দাগারকুঠি গ্রামটিতে হঠাৎ করে ব্রহ্মপূত্র নদের ভাঙনে দেখা দেয়। ফলে গত ২ সপ্তাহের অব্যাহত ভাঙনে ৭১-এর গনহত্যার স্মৃতিচিহ্ন বদ্ধভুমি সিএলপি গ্রামটি আবারও প্রবল ভাঙ্গনের মুখে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। ওই গ্রামে বসবাসকারী প্রায় ৫০টি জেলে পরিবারসহ দুই শতাধিক পরিবারের ঘরবাড়ী, দাগারকুঠি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও প্রায় দেড় কিঃ মিটার এলাকার ভরা ধান ক্ষেত নদী গর্ভে চলে যায়। বর্তমানে ভিটামাটি হারিয়ে দরিদ্র পরিবার গুলো অতি কষ্টে দিনাতিপাত করছে। ওই এলাকায় অব্যাহত ভাঙ্গনের কারনে পার্শ্ববর্তী চর গুলোতে বসবাসকারী মানুষজনের মধ্যে ভাঙন আতংক দেখা দিয়েছে। ভাঙনের মুখে রয়েছে, অনন্তপুর ব্রম্মপুত্র নদীর ডান তীর রক্ষা প্রকল্পসহ অনন্তপুর বাজার, সরকারী স্থাপনা ও বিপুল জনবসতিপূর্ণ এলাকা।
আব্দুল মজিদ (৪০), আউয়াল (৫০), পরিমল চন্দ্র দাস (৬০), মোকছেদ আলী (৩৫), কাদো দাস (৫৫), নজির হোসেন (৪০), নেল্ল্যা মামুদসহ ভুক্তভোগী অনেকেই নদী ভাঙনে ঘরবাড়ী হারিয়ে মাথা গোঁজার ঠাঁই পাচ্ছে না। অফনেকে পার্শ্ববর্তী এলাকায় আশ্রয় নিয়ে পরিবার পরিজন নিদারুন কষ্টে রয়েছে। ভাঙন কবলিত ঝলু মিয়া(৩৫) বলেন, এত আগে নদীর এমন ভাঙন দেখিনি।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন,ভাঙনরোধে শ্রীঘ্রই ব্যবস্থা নেয়া হবে।