আব্দুল মালেকঃ
পুকুরে মাটি কাটাকে কেন্দ্র করে বউ, শাশুড়ি ও জা এর সাথে ঝগড়া বিবাদের পর চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে এবং মৃত গৃহবধূর শ্বশুর, ভাসুরকে আটক করে। ঘটনাটি ঘটেছে গত শুক্রবার (২ ফেব্রুরারী ২০১৮) রাতে উপজেলার বজরা ইউনিয়নের কাশিম বাজার গ্রামে।
জানা গেছে, পৌরসভার খাওনার দরগাাহ ভাটিয়া পাড়া গ্রামের মৃত সামাদ হোসেনের কন্যা সান্তনা বেগমের সাথে উপজেলার কাশিমবাজার গ্রামের মহিরুদ্দিনের পূত্র সামিউলের সঙ্গে ৭ বছর পূর্বে বিয়ে হয়। এর পর সামিউল স্ত্রীকে বাড়িতে রেখে কর্মস্থলে ঢাকায় চলে যায়। স্বামীর অনুপস্থিতে শাশুড়ি, জা ও ননদ মিলে প্রতিনিয়ত গৃহবধূর উপর অমানবিক নির্যাতন চালিয়ে আসতো। গত শুক্রবার বিকেলে সান্তনা বেগম (২৮) পুকুরের মাটি আনতে গেলে শাশুড়ি সাথে কথা-কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তার শাশুড়ি রুপসী, জা রুপিয়া, ননদ রওশনারা তাকে বেধড়ক মারধর করার এক পর্যায়ে গলা চেপে ধরলে তার মৃত্যু হয়। ঘটনা বেগতিক দেখে শ্বশুর বাড়ির লোকজন তার মুখে বিষ ঢেলে মৃত অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। এসময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করলে শ্বশুর বাড়ির লোকজন লাশ ফেলে পালিয়ে যায়।
খবর পেয়ে গৃহবধূর মা ও তার বাড়ির লোকজন হাসপাতাল থেকে মেয়ের লাশ বাড়িতে নিয়ে আসে। নিহতের মা রাশেদা অভিযোগ করেন, তার মেয়েকে শারিরিক নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। তিনি এর সুষ্ঠ বিচারের দাবি জানান।
এদিকে একটি প্রভাবশালী মহল ঘটনাটি ধামা চাপা দেয়ার চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ৩ টার দিকে লাশ থানায় নিয়ে আসে এবং শ্বশুর মহির উদ্দিন (৬৫) ও ভাসুর রবিউল ইসলাম (৫৫) কে আটক করেছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ নুরুল হুদা জানান, ওই গৃহবধূকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। উলিপুর থানা এস আই আতাউর রহমান প্রধান জানান তার পিতার বাড়ি থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে এবং জিজ্ঞাসার জন্য ২ জনকে আটক করা হয়েছে।