আ:মালেক:
গাছে গাছে ফুলের সমাহার। প্রতিটি গাছের শাখায় শাখায় নতুন ফুলে বাংলার প্রকৃতির এক অপরূপ সাজে সাজিয়েছে। বিশেষ করে গাছে গাছে আমের মুকুল যেন বাংলার প্রকৃতিকে অপরুপ করে তুলেছে। আমের মুকুল দেখতে যেমন-তেমন, এর মৌ মৌ গন্ধ পাগল করে সকল বাঙালিকেই। মৌমাছির দল গুন গুন শব্দে, মনের আনন্দে আহরণ করে মধু। মৌমাছির এ গুন গুন সুরও কেড়ে নেয় অনেক প্রকৃতি প্রেমির মন। ফাল্গুন এলেই বাংলার পত্রহরিৎ অরণ্যে নতুন এ পত্র-কুড়ি দেখা যায়। নতুন ফুলে-ফুলে ভরে ওঠে গাছের শাখা। এ যেন হলুদ আর সবুজের মহামিলন। গতকাল রোববার জেলার উলিপুর উপজেলার ধামশ্রেনী এলাকায় ঘুরে দেখা যায় সারি সারি আম গাছ। প্রতিটি বাড়ির উঠানে আম গাছে মুকুল এসেছে।
এসব এলাকার মানুষ আম গাছের মুকুল আটকাতে পরিচর্যায় ব্যস্ত। অনেকের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রতি বছর প্রাকৃতিক দূর্যোগের কারণে আমের মুকুল ঝরে পরে। ফলে আশানরুপ মুকুল থেকে আম আসে না। সংকট দেখা দেয় এ অঞ্চলের আম সরবরাহে। ভরা মৌসুমেও বাজার গুলোতে দেশি আমের চেয়ে বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা হরেক জাতের আমে বাজার সয়লাব হয়ে যায়। এসব আম কিনতেও নিন্ম আয়ের মানুষের নাবিশ্বাস। এছাড়া কৃতিমভাবে বিশেষ করে ফরমালিন মুক্ত আম মানুষের স্বাদ মিটালেও নানান অসুখ বিসুখে আক্রান্ত হয়। এ সময় কথা হয় ঐ এলাকায় কৃষক ফুল মিয়ার সাথে তিনি জানান, “হামার ১০-১২ টা আমের গাছ প্রতি বছর নিজের বাড়ির গাছের আম ছাওয়া পোওয়া খায়। গেল বছর গাছে আম না থাকার কারনে বাজার থাকি কিনি আনছিলং একনা স্বাদও আছিলো না বাহে”।
থেতরাই ইউনিয়নের আব্দুল জলিল, নুর মুহাম্মদ আলী, রহিম উদ্দিন সহ অনেকে জানান, মুকুল আসার পর থেকেই তারা গাছের প্রাথমিক পরিচর্যা শুরু করেছেন। মুকুলের রোগবালাইয়ের আক্রমন থেকে রক্ষা করতে স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োজনীয ওষুধ স্প্রে করছেন । বর্তমানে আবহাওয়া অনুকূলে রয়েছে এ অবস্থা থাকলে এবার আমের বাম্পার ফলন হবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেন।
উপজেলা কৃষি অফিসার অশোক কুমার রায় বলেন, এবারের আবহাওয়া অত্যন্ত ভাল। যা আমের বাম্পার ফলনের জন্য উপযোগী। তবে সবকিছুই প্রকৃতির ওপর নির্ভর করছে