তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্কঃ
চতুর্থ প্রজন্মের (ফোরজি) টেলিযোগাযোগ সেবা চালু হচ্ছে আজ সোমবার থেকে। ফোরজি হচ্ছে ফোর্থ জেনারেশন বা চতুর্থ প্রজন্ম শব্দটির সংক্ষিপ্ত রূপ। ফোরজির মূল সুবিধা এই নেটওয়ার্কে সর্বোচ্চ গতিতে তথ্য আদান-প্রদান করা সম্ভব। বলাই হচ্ছে, এর গতি হবে সর্বনিম্ন ১০০ মেগাবাইট। কিন্তু কীভাবে জানবেন আপনার সিম ফোরজি কি না? এ সমস্যার সমাধান দিয়েছে মোবাইল ফোন অপারেটরগুলো। সিমটি ফোরজি কি না, সেটি বিনা মূল্যে জানা যাবে।
মোবাইল ফোন অপারেটরগুলো কিছু নম্বর দিয়েছে, যা ডায়াল করলে এবং খুদে বার্তা পাঠাতে হবে। ফিরতি বার্তায় সংশ্লিষ্ট অপারেটরগুলো জানিয়ে দেবে যে আপনার সিমটি চতুর্থ প্রজন্মের কি না। এরই মধ্যে আবার মোবাইল অপারেটরগুলো ফোরজি সেবা পেতে আগ্রহী ব্যক্তিদের গ্রাহকসেবা কেন্দ্রে গিয়ে সিম বদলে নেওয়ার জন্য বার্তা পাঠিয়েছে।
ফোরজি টেলিযোগাযোগ সেবা পেতে
সিমটি যদি ফোরজি না হয়, তাহলে তা সংশ্লিষ্ট মোবাইল ফোন অপারেটরের গ্রাহকসেবা কেন্দ্র থেকে পরিবর্তন করে নিতে হবে। এ জন্য মূল্য সংযোজন করসহ (মূসক) খরচ পড়বে ১১৫ টাকা। সিম পরিবর্তন করতে জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি, ছবি ও আঙুলের ছাপ (বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন) দিতে হবে।
ফোরজি নেটওয়ার্কে যেসব সুবিধা পাওয়া যায় সেগুলোর মধ্যে সংশোধিত মোবাইল ওয়েব সেবা, আইপি টেলিফোনি, গেমিং সেবা, এইচডিটিভি, হাই-ডেফিনিশন মোবাইল টিভি, ভিডিও কনফারেন্স, ত্রিমাত্রিক টেলিভিশন এবং ক্লাউড কম্পিউটিং উল্লেখযোগ্য।
এই প্রযুক্তির মাধ্যমে হাই ডেফিনিশন টেলিভিশন ও ভিডিও কনফারেন্সের সুবিধা পাওয়া সম্ভব। এ ছাড়া এই প্রযুক্তিতে গ্রাহক সব সময়ই মোবাইল অনলাইন ব্রডব্যান্ডের আওতায় থাকতে পারবে। ফোরজির মাধ্যমে মোবাইলে কথোপকথন ও তথ্য আদান-প্রদানের নিরাপত্তা অনেক বেশি ও শক্তিশালী। এ ছাড়া ফোরজি মোবাইল গ্রাহকদের ভয়েস মেসেজ, মাল্টিমিডিয়া মেসেজ, ফ্যাক্স, অডিও-ভিডিও রেকর্ডিংসহ নানা ধরনের সুবিধা দেয়।
আপনার ব্যবহৃত হ্যান্ডসেটটি ফোরজি উপযোগী কি না, সেটি আপনি নিজেই জানতে পারবেন। এ জন্য প্রথমে মোবাইল ফোনের ‘সেটিংস’ অপশনে যেতে হবে। সেখানে নেটওয়ার্ক অথবা ‘ওয়্যারলেস অ্যান্ড নেটওয়ার্কস’-এ গেলে দেখা যাবে ফোনটি ফোরজি প্রযুক্তির কি না। মোবাইল ফোন অপারেটরের সেবাকেন্দ্র ও বিভিন্ন স্মার্টফোন ব্র্যান্ডের বিক্রয়কেন্দ্র থেকেও ফোরজি হ্যান্ডসেটের তথ্য জানা যাবে।