আব্দুল মালেকঃ
উলিপুরে কনকনে ঠান্ডা, ঘন কুয়াশা আর শৈত্যপ্রবাহের কারনে বোরো বীজতলা নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। অনেক বীজতলা চারাগাছের পাতা সাদা হয়ে মরে যাচ্ছে। ফলে চলতি মৌসুমে বোরো বীজের সংকট দেখা দিতে পারে বলে অনেক কৃষকের আশংকা।
এদিকে উপজেলার সর্বত্রই কৃষকরা পুরোদমে বোরো চাষাবাদে লেগে পড়েছে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ১৮ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্র নির্ধারণ করা হয়েছে। এজন্য ১ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে বোরো বীজতলা তৈরি করা হয়েছে।
উপজেলার দলদলিয়া ইউনিয়নের বর্গাচাষী শমসেল হক জানান, এবছর ধানের দাম বেশি হওয়ায় সে প্রায় ২ একর জমিতে বোরো চারা রোপন করবে। খরচ বেশি হলেও এখন ধান চাষাবাদে অনেকটা লাভবান সে। একই এলাকার চাষী একরামুল জানান, আবহাওয়ার কারনে সে দেরিতে বীজতলা তৈরি করেন। কিন্তু অতিরিক্ত ঠান্ডা আর শৈত্যপ্রবাহের কারনে তার বীজতলার চারাগাছের পাতা সাদা হয়ে শুকিয়ে যাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে তার চারা সংকট হতে পারে। উপজেলার তিস্তা ও ব্রহ্মপূত্র নদ বেষ্টিত থেতরাই, গুনাইগাছ, দলদলিয়া, হাতিয়া, বজরা, বুড়াবুড়িসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, অনেক বীজতলা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
এসব এলাকার বেশির ভাগ কৃষক বোরো চারা রোপনে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। অনেক এলাকায় কৃষি শ্রমিকের সংকট রয়েছে। একর প্রতি ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা দিয়ে বোরো চারা লাগাতে হচ্ছে কৃষকদের। থেতরাই ইউনিয়নের কৃষক সেলিম জানান, আগে যারা চারা লাগিয়েছে,তাদের চারা গাছ মরে যাচ্ছে। তবে এখন যারা লাগাচ্ছেন তাদের কোন সমস্যা হচ্ছে না। হাতিয়া ইউনিয়নের কৃষক তৈয়ব আলী জানান, তার চারা ভাল হয়েছিল, তবে অতিরিক্ত ঠান্ডার কারনে চারা গাছ গুলোর পাতা সাদা এবং ঝলসে হলুদ বর্ণ ধারন করছে। উপজেলা কৃষি অফিসার অশোক কুমার রায় বলেন, কৃষকরা লাভবান হওয়ায় এ বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি বোরো চাষাবাদ হবে। তবে চারা সংকটের কোন প্রভার পড়বে না।