এ.এস জুয়েল:
শীতের তীব্রতা বেড়েছে। তাই প্রায় সব ঘরেই এখন ঠাণ্ডা কফে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এই কফের কারণেই অনেকের জীবন হয়ে উঠে অতিষ্ঠ। শ্লেষা অথবা বাইরের ধূলাবালি যখন গলায় প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে, তখন শ্বাস প্রশ্বাসেও সমস্যা দেখা দেয়।অতিরিক্ত কফ শ্বাসনালীর রোগ নিউমোনিয়া, ব্রংকাইটিস, সাইনোসাইটিস, টিউবারকিউলোসিসের লক্ষণও হতে পারে।
এ সময় প্রচুর পানি করা জরুরি, যাতে শ্লেষা দূর হয়। এছাড়া এ অবস্থায় অল্প সময়ে কফ থেকে নিষ্কৃতি পেতে পারেন কয়েকটা ঘরোয়া টিপস অবলম্বন করে-
হলুদ মেশানো দুধ: কফ দূর করতে এক গ্লাস দুধের সঙ্গে আধা টেবিল চামচ হলুদের গুঁড়ো মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়। দিনে কয়েকবার হলুদ মেশানো পানি দিয়ে গার্গল করলে উপকার পাবেন। হলুদে কারকিউমিন নামের যে উপাদান থাকে, তা ইনফেকশন দূর করে। আর গরম দুধ বুক থেকে কফ বের হতে সাহায্য করে।
আয়ুর্বেদিক গুল্ম: পদ্ম গুলঞ্চের ডাল গুঁড়ো পানির সঙ্গে দুই চামচ মিশিয়ে পান করতে হবে।
মধু, যষ্টিমধু, দারুচিনি: ঠাণ্ডা দূর করতে মধু খুব উপকারি। আর আয়ুর্বেদ গুল্ম যষ্টিমধু কফ দূর করতে অনেক আগে থেকেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে। টেবিল চামচের চার ভাগের এক ভাগ মধু, সে পরিমাণ আয়ুর্বেদিক গুল্ম যষ্টিমধুর গুঁড়ো, একই পরিমাণ দারচিনি পানির সঙ্গে মিশিয়ে সকালে একবার ও রাতে একবার পান করলে খুব উপকার পাওয়া যায়।
গোল মরিচ ও ঘি: যদি কফের পরিমাণ বেশি থাকে, তাহলে টেবিল চামচের অর্ধেক গোল মরিচ ও খাঁটি ঘি মিশিয়ে ভরা পেটে খেলে বেশ উপকার পাওয়া যায়।
বাচ্চাদের জন্য ডালিমের জুস: যদি বাচ্চাদের কফ বেশি থাকে, তাহলে অর্ধেক কাপ ডালিমের সঙ্গে এক চিমটি আদার গুঁড়ো ও আয়ুর্বেদ গুল্ম পিপালি মিশিয়ে খাওয়ালে বেশ উপকার পাওয়া যায়।
মশলাদার চা: কফ যদি বেশি থাকে, তাহলে এক কাপ মশলাদার গরম চা আপনাকে খুব স্বস্তি দেবে। আধা টেবিল চামচ আদার গুঁড়ো, এক চিমটি দারচিনি গুঁড়ো আর কয়েকটা লবঙ্গ মিশিয়ে চা পান করুন। এই তিনটি মশলাই আপনাকে দ্রুত কফ থেকে নিষ্কৃতি দেবে। আর সর্দি ঝরা থেকেও মুক্তি পাবেন।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি, হেলথ লাইন ডট কম।