লাইফস্টাইল ডেস্কঃ
চা শব্দটি শুনলেই যেন তেষ্টা পেয়ে যায় আর চোখের সামনে ভেসে উঠে এক কাপ ধুমায়িত গরম চা৷ সকালে চা না হলে ঠিকমতো ঘুমই ভাঙে না৷ কাজের ফাঁকে মস্তিষ্ক সচল রাখতে চায়ের তুলনা নেই একথা চা প্রেমীদের অনেকেই বলেন৷
শোনা যায় কবি, সাহিত্যিক বা লেখকদের গরম চা না হলে নাকি তাঁদের লেখাই আসে না৷ আর এই চায়ের সাথে যদি হয় মচমচে ঝাল মুড়ি আর সিঙ্গারা তা হলেতো কথাই নেই৷
এছাড়াও মাথা ব্যথা বা শরীর ম্যাজম্যাজ করলে প্রথমেই আমাদের কিসের কথা মনে পড়ে? ঘন দুধ আর চিনি দিয়ে তৈরি এক কাপ গরম চা, দার্জিলিং, আসাম চা বা অন্য কোন কালো চা৷ আর এই চায়ের সাথে কিন্তু আমরা সবাই পরিচিত বিশেষ করে উপমহাদেশের চা ভক্তরা৷
জার্মানরা অবশ্য আমাদের মতো সেভাবে চা পান করেন না, ওদের চা হয় হয় খুব হালকা লিকারচিনিসহ বা চিনি ছাড়া৷ তবে আজ আমরা আপনাদের শোনাবো জার্মানদের গ্রীন টি বা সবুজ চা পানের কথা৷
বিশ্বজুড়ে গ্রীন টি-এর জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়েই চলেছে৷ বিশেষ করে স্বাস্থ্য সচেতন মানুষদের কাছে৷ আর এই চায়ের প্রতি এই প্রজন্মের ছেলে মেয়েদেরও বেশ আগ্রহ দেখা যাচ্ছে৷ বলা যায় ফিগার ঠিক রাখতে অনেকেই এইগ্রীন টি-এর প্রতি বেশি ঝুঁকছেন৷
জাপানি দার্শনিক কাকুসো ওকাকুরা বলেছেন, গ্রীন টি প্রথমে ছিল ওষুধ, তারপর পানীয়তে পরিণত হয়েছে৷ গ্রীন টির রয়েছে নানা গুণ- নিয়মিত এই চা পানে শরীরে ভালোভাবে রক্ত চলাচল করে৷ পেট পরিষ্কার থাকে আর মস্তিষ্ককে রাখে সচল৷ এই চা কেবল পিপাসাই মেটায় না দূর করে ক্লান্তি৷ এই তথ্যগুলো বিভিন্ন গবেষণার মধ্যে দিয়ে বেরিয়ে এসেছে৷
জাপানের একটি গবেষণায় দেখা গেছে টহোকু বিশ্ববিদ্যালয়ের ডা. শিনিচি কুরিয়ামা বলেছেন, যারা দিনে দুই কাপের বেশি গ্রীন টি পান করেন তারা মানসিকভাবে অনেক বেশি ফিট৷ তিনি একথাও বলেছেন, যারা শারীরিক এবং মানসিকভাবে ফিট তাদের জন্য গ্রীন টি বেশি উপকারে আসে৷ গ্রীন টি ইমিউন সিস্টেমকে আরো শক্তিশালী করে৷
তবে এই চা নিয়মিত পান করতে হবে৷ এতে রয়েছে ভিটামিন এ, ই, সি, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ছাড়াও বিভিন্ন মিনারেল যা প্রতিটি মানুষের শরীরেই প্রয়োজন৷ স্বাস্হ্য ঠিক রাখতে সাহায্য তো করেই এমনকি নিয়মিত এই চা পান মানুষের আয়ু বাড়াতেও ভূমিকা রাখে৷
শুধু চায়ের জন্য রয়েছে জার্মানিতে কিছু বিশেষ দোকান৷ সেসব দোকানে মন ভোলানো সুন্দর কাপে গরম চা টেস্ট করে দেখারও ব্যবস্থা থাকে৷ বেশির ভাগ গ্রীন টি আমদানি করা হয় চীন থেকে। তারপর রয়েছে জাপানের স্থান৷
চীন থেকে আমদানি লুং শিং, মু- ডান, মাউ ফেং, জেসমিন ইত্যাদি৷ জাপান থেকে আসা চায়ের মধ্যে রয়েছে সেনচা, বানচা, কোকাইচা আরো কত কি।
সুত্রঃ AllbanglaNews.Net