এ.এস.জুয়েলঃ
শীতের তীব্রতা বেড়েছে। কনকনে ঠাণ্ডার সঙ্গে হিমেল হাওয়া ঠাণ্ডার মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। সন্ধ্যা থেকে দুপুর পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকছে জনপদ। গরম কাপড়ের অভাবে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে নিম্নআয়ের মানুষ। কুড়িগ্রামের আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ অফিসের পর্যবেক্ষক সুবল চন্দ্র সরকার জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার কুড়িগ্রামের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাতে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।
নিম্নআয়ের মানুষ খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে। বিশেষ করে ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তাসহ ১৬টি নদ-নদীর অববাহিকায় চার শতাধিক চরের মানুষ শীতের তীব্রতায় দুর্ভোগে পড়েছে। সদর উপজেলার চর ভেলাকোপার আকবর আলী জানান, তারা গরিব মানুষ কাজ করে খান কিন্তু খুব শীত ও ঠাণ্ডা বাতাসে কাজে যেতে পারছেন না, গরম কাপড় নেই। চিলমারী উপজেলার অষ্টমীর চরের ময়না বেগম জানান, কাপড় কেনার কোনো টাকাপয়সা নেই, কাজকর্মও নেই, তাই কষ্টে আছেন।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক আবু ছালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান জানান, তালিকা করে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ও অসহায় মানুষদের শীতবস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে। আর শীত মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব রকমের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।