নিউজ ডেস্কঃ
কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলে বাদাম চাষে সাফল্য অর্জন করেছে চাষীরা। চার-পাঁচ বছর আগেও এসব বালি জমিতে কোনো ফসল আবাদের চিন্তা করতো না কেউ। তবে এ চিত্র এখন পাল্টে গেছে। একসময়ের পতিত হলেও এখন সেখানে আবাদ হচ্ছে চীনাবাদাম।
কৃষকদের আশা, এর মধ্য দিয়ে কিছুটা হলেও তারা গেল বন্যার ক্ষতি কাটিয়ে উঠবেন। দেখা মিলবে মুনাফার, পরিবর্তন হবে জীবনমানেরও।
স্থানীয় কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলে দেড় হাজার হেক্টর জমিতে চীনাবাদামের চাষ হয়েছে। তবে কৃষকদের ধারণা এ পরিমাণ আরো বেশি। তারা এখন শেষ মুহূর্তের পরিচর্যা ও ক্ষেত থেকে বাদাম উত্তোলনে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কৃষকরা জানিয়েছেন, এখানে স্থানীয় ঢাকা ওয়ান ও ডিজি টু জাতের চীনাবাদামের চাষ করা হচ্ছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, কুড়িগ্রামে প্রবাহিত ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা ও দুধকুমারসহ ১৬টি নদ-নদীর অববাহিকার চারশতাধিক চরে এবার কম-বেশি বাদাম আবাদ হয়েছে। চরের বালি জমিতে স্বল্প খরচে চীনাবাদাম আবাদ বেশ লাভজনক। তাই দিন দিন এ অঞ্চলের কৃষক বাদাম চাষে ঝুঁকছেন। আর প্রতি মণ বাদাম এখন ১ হাজার ২০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
জেলার রৌমারী উপজেলার বন্দবের ইউনিয়নের পালের চর ও শৌলমারী ইউনিয়নের ঘুঘুমারীর চর এবং উলিপুর উপজেলার সাহেবের আলগার চর ঘুরে দেখা গেছে বিস্তীর্ণ বাদামক্ষেত। সবুজ এসব ক্ষেত দেখে বোঝার উপায় নেই যে, এগুলো একসময় পতিত জমি ছিল।
বন্দবের ইউনিয়ন পালের চর গ্রামের কৃষক হোসেন আলী বলেন, ‘অন্যান্য ফসলের চেয়ে বাদাম চাষে খরচ কম। এখানকার চরের জমিও বাদাম চাষের জন্য বেশ উপযোগী।’
উলিপুর উপজেলার সাহেবের আলগা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সিদ্দিক আলী মণ্ডল জানান, চরের বালি জমিতে বাদাম চাষে কৃষকদের উন্নত জাতের বীজ সরবরাহের পাশাপাশি প্রযুক্তিগত সহায়তা দেয়া গেলে তারা আরো লাভবান হতেন। এতে করে চরের মানুষের জীবনমানও বৃদ্ধি পেত।’
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মকবুল হোসেন বলেন, ‘বাদামের দেশব্যাপী ব্যাপক চাহিদা থাকায় এর বাজার নিয়ে কৃষকদের ভাবতে হয় না। প্রতি বছরই এখানকার চরাঞ্চলে বাদামের চাষ বাড়ছে। আমরা কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে বাদাম চাষের বিষয়ে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছি।’
সুত্রঃ allbanglanews