জেনে নিন ফুলকপির গুণ সম্পর্কে-
মস্তিষ্ক ও কোষের জন্য উপকারী
ফুলকপিতে ফসফরাস ও কোলিন রয়েছে। দেহকোষ গঠনে এই দুই উপাদান খুবই কার্যকর। আমাদের মস্তিষ্কের কোষ সুস্থ ও সুন্দর রাখতে সহায়তা করে ফুলকপি। মস্তিষ্কের রোগ ও হৃদরোগ কমাতে সাহায্য করে শীতের এ সবজি।
স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়
গবেষণায় দেখা গেছে, হাইপারটেনশন দূর করে স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায় ফুলকপি। এই সবজিতে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান অ্যালিসিন আছে, যা রক্ত ও লিভার পরিষ্কার রাখে। ফুলকপি হৃদরোগের ঝুঁকিও কমায়।
ডায়াবেটিস রোধ করে
শীতের সময়ে নিয়মিত ফুলকপি খাওয়া উচিত। এই সবজিতে পটাশিয়াম ও ভিটামিন সি থাকে প্রচুর পরিমাণে। এই দুই পুষ্টিগুণ ডায়াবেটিস রোধ করতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। এতে থাকা পটাশিয়াম রক্তের গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণে রাখে। ফুলকপিতে থাকা ভিটামিন বি৬ রক্তের গ্লুকোজ ঠিক রাখার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে। প্রসূতির জন্য উপকারী
ফুলকপি প্রসূতি মায়ের জন্যও বেশ উপকারী। এই সবজি গর্ভে থাকা শিশুর মস্তিষ্কের গঠনে সাহায্য করে। এতে থাকা প্রয়োজনীয় আঁশ ও মিনারেল প্রসূতি মায়ের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখে।
রোগ প্রতিরোধ করে
এই সবজিতে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি রয়েছে প্রচুর পরিমাণে। শরীরের ইনফেকশন ও প্রদাহ দূর করতে কাজ করে এই দুই উপাদান। পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে
গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত ফুলকপি খেলে মুটিয়ে যাওয়া থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়।
মলাশয়ের প্রদাহ দূর করে
কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণে মলাশয়ে প্রদাহ হলে তা দূর করতে পারে ফুলকপি। এতে ফেনেথাইলিসোদিওসায়ানাইট নামের যে উপাদান থাকে, তা মলাশয়ের ক্ষতিগ্রস্ত কোষগুলোকে সারিয়ে তোলে।
ইলেকট্রোলাইট ভারসাম্য রক্ষা করে
ফুলকপিতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম আছে, যা শরীরের জন্য খুব প্রয়োজনীয় ইলেকট্রোলাইট। পটাশিয়াম শরীরের ইলেকট্রোলাইট ভারসাম্য রক্ষা করতে সাহায্য করে। এটি স্নায়ুতন্ত্র ও মাংসপেশির কার্যক্রম ঠিক রাখে।
চোখের জন্য উপকারী
ফুলকপি চোখের জন্য খুবই উপকারী। এতে থাকা সালফোরাফেন চোখের রেটিনা ও অন্যান্য কোষ সতেজ রাখে। চোখে ছানি পড়া, অন্ধত্বসহ চোখের রোগ থেকে দূরে থাকতে পারবেন নিয়মিত ফুলকপি খেলে।
তথ্যসূত্র: ইনস্টিকস,ডক্টর এক্স ডটকম