আব্দুল মালেকঃ
‘বুড়িতিস্তা বাঁচাও-উলিপুর বাঁচাও’ এই শ্লোগানে ধারাবাহিক আন্দোলনে নড়েচড়ে বসেছে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়। বুড়িতিস্তা নদীকে বাঁচাতে গঠিত কারিগরি কমিটি আজ বুধবার সকালে দখল হয়ে যাওয়া নদী এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
এ সময় বুড়ি তিস্তা পাড়ের শত শত মানুষ নদী খননের জন্য কারিগরি কমিটির কাছে অনুরোধ জানান। কারিগরি কমিটির আহবায়ক, নকশা সেল’র তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মুসা নুরুর জানান, বুড়ি তিস্তার দেখতে উপজেলার থেতরাই থেকে চিলমারী উপজেলার কাচকোল পর্যন্তÍ ৪০ কিলোমিটার এলাকা পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেন, অবৈধ দখলদার নদী দখল করে তা মেরে ফেলার চেষ্টা করছে। তিস্তা নদী খননে একটি প্রতিবেদন দাখিলের পর নদী খননে পরিমাপ, হুকুম দখল বিষয়ে আরো একটি প্রতিবেদন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে দাখিল করা হবে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান, এটি হবে একটি মেগা প্রজেক্ট। এতে নদীর পানি প্রবাহ স্বাভাবিক রাখতে খনন, দুই পারে ওয়াকওয়ে সৌন্দর্য্য বৃদ্ধির প্রকল্প হাতে নেয়া হবে। কারিগরি কমিটি বুড়িতিস্তা এলাকা পরিদর্শনের সময় মানুষের মাঝে আনন্দের ঝিলিক লক্ষ্য করা গেছে। কারিগরি কমিটির এলাকা পরিদর্শনের খবরে শত শত মানুষ সেখানে ভীড় জমাতে থাকেন।
উলিপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি আবু সাঈদ সরকার বলেন, বুড়িতিস্তা নদী দখলমুক্ত করা উলিপুরের মানুষের প্রাণের দাবী। আমাদের বিশ্বাস দ্রুত এটি বাস্তবায়নের যথাযথ উদ্যোগ নেয়া হবে। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপ-সহকারি প্রকৌশলী রায়হান কবির, রেল, নৌ-যোগাযোগ ও পরিবেশ উন্নয়ন গণকমিটির সভাপতি আপন আলমগীর, সাংবাদিক পরিমল মজুমদার, সাংবাদিক তৈয়বুর রহমান প্রমুখ।