প্রযুক্তির এই যুগে আমরা অনেক বেশি আরামপ্রিয় হয়ে উঠেছি। প্রযুক্তির ব্যবহারে জীবন সহজ হলেও কায়িক পরিশ্রম ছাড়া নাগরিক জীবনে বয়স আট থেকে আশি, অনেকেই ভুগছেন ডায়াবেটিস নামের রোগে।
চিকিৎসকের পরামর্শে এ রোগ নিয়ন্ত্রণে থাকলেও নিষ্কৃতি পাওয়া প্রায় অসম্ভব। রক্তে শর্করার মাত্রা সামলাতে আমূল পরিবর্তন ঘটাতে হয় রোজের খাদ্যতালিকায়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে আপনাকে সাহায্য করবে ৬টি ফল-
আপেল
আপেলের মধ্যে রয়েছে প্রচুর ফাইবার। রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কম করতে ভালো কাজ করে এই ফাইবার। আপেলের মধ্যে রয়েছে পেকটিন। এটিও ব্লাড সুগার কম করতে সাহায্য করে।
পেয়ারা
ডায়াবেটিস রোগীদের একটি বড় সমস্যা হলো কোষ্ঠকাঠিন্য। পেয়ারার মধ্যে প্রচুর ফাইবার থাকে। এই ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য কম করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি রোগীকে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের হাত থেকে রক্ষা করে।
পেঁপে
পেঁপের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি খুবই উপকারী। রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে গেলে রোগীর হার্ট, নার্ভের সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। নিয়মিত পেঁপে খেলে তা কিছুটা রুখে দেয়া যায়।
জাম
ডায়াবেটিসে জাম বিশেষ উপকারী। জামের মধ্যে থাকা একটি বিশেষ উপাদান খাবারের স্টার্চকে ভেঙে দেয়। ফলে রক্তে সুগারের মাত্রা ঠিক থাকে। সুগার রোগীদের ঘনঘন প্রস্রাব ও তৃষ্ণার প্রবণতা অনেকটাই কমিয়ে দেয়।
আমলকি
ক্রোমিয়ামের একটি বড়সড় উৎস হলো আমলকি। অগ্নাশয়কে সুস্থ রাখতে ক্রেমিয়াম খুবই উপকারী।
বেরি
গ্লুকোজ ভেঙে তাকে শক্তিতে পরিণত করার ক্ষমতা রয়েছে বেরির। ফলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমে। পাশাপাশি বেরির মধ্যে থাকা একটি উপাদান ইনসুলিন ক্ষরণেও সাহায্য করে। ফলে দেহে ইনসুলিন ক্ষরণ স্বাভাবিক থাকে।
সুত্র:যুগান্তর