শামস্ তৌফিক নিশানঃ
সম্পদের তথ্য গোপনের মামলায় গত ১২ই নভেম্বর রবিবার তিতাস গ্যাস কোম্পানির সাবেক জিএম মঞ্জুরুল হকের বিরুদ্ধে চার্জশীট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। উলিপুরের বাসিন্দা ও উলিপুরস্থ প্রতিষ্ঠান বিকাশ বহুমুখী সমবায় সমিতির কর্ণধার জনাব মঞ্জুরুল হককে নিয়ে দুদকের এ সংক্রান্ত সংবাদটি দেশের শীর্ষস্থানীয় পত্রিকা, নিউজ পোর্টাল ও বিভিন্ন বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে ব্যাপক প্রচারিত হবার পর উলিপুরসহ আশেপাশের এলাকাগুলোতে এটি আলোচনার প্রধান বিষয়বস্তু হয়ে উঠেছে। চায়ের টেবিল থেকে শুরু করে পাড়া-মহল্লার অলিগলিতে এখন আলোচনার অন্যতম মুখরোচক উপাদান হয়ে উঠেছে এটি। এমনকি “উলিপুর সচেতন নাগরিক” নামক একটি সংগঠনের ব্যানারে উলিপুর পৌর শহরের বিভিন্ন অলিতে গলিতে “গ্যাস ডাকাত মঞ্জুরুল হককে ধরিয়ে দিন” শিরোনামের পোষ্টার লক্ষ্য করা গেছে, যা আলোচনার মাত্রাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
দেশের শীর্ষস্থানীয় সংবাদ মাধ্যম ইত্তেফাক, যুগান্তর, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম, বাংলা ট্রিবিউন, জাগো নিউজ টোয়েন্টিফোর সহ অন্যান্য সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের সাবেক জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) মনজুরুল হকের বিরুদ্ধে ৮০ লাখ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত অবৈধ সম্পদ অর্জনের এবং ৬০ লাখ ৭৫ হাজার ৩০০ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের প্রমাণ পেয়েছে দুদক। এর আগে ২০০৭ সালের ৪ জানুয়ারি এ সংক্রান্ত অভিযোগে মনজুরুল হকের বিরুদ্ধে রাজধানীর রমনা থানায় মামলা করে দুদক। এরপর দুদকের উপ-পরিচালক সেলিনা আখতার মামলাটি তদন্ত করেন।
এ ব্যাপারে কথা বলতে চাইলে উলিপুরের প্রবীণ রাজনীতিবিদ ও সমাজসেবক এমএ মতিন বলেন, “এটি অনেক দুঃখজনক ঘটনা এবং উলিপুরবাসী হিসেবে আমি মর্মাহত ও ব্যতীত। আমি সুষ্ঠ তদন্ত দাবী করছি”। রেল, নৌ-যোগাযোগ ও পরিবেশ উন্নয়ন গণকমিটি উলিপুর শাখার সভাপতি আপন আলমগীর তার ফেসবুকে লিখেছেন, “একসময় দেশের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা মঞ্জুরুল হক সাহেবের বিরুদ্ধে দেশের সম্পদ লুটপাট করে অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়ে তথ্য গোপন করার যে অভিযোগ তা বিশ্বাস করতে আমার কষ্ট হচ্ছে”। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন যে জনাব মঞ্জুরুল হক তার অবস্থান পরিষ্কার করবেন। উলিপুর এম.এস স্কুল এন্ড কলেজের প্রভাষক আব্দুর রাজ্জাক পিটার বলেন, “দুদক আরও ভালো করে তদন্ত করলে আরও গোপন তথ্য বেরিয়ে আসবে”।