প্রকাশিতব্য আবু হেনা মুস্তফা রচিত “উলিপুরের ইতিহাস” প্রকাশ না হতেই উলিপুরে বইটি নিয়ে বেশ হৈচৈ পড়েছে পাঠক সমাজে। শুধু উলিপুরে থেমে থাকেনি বইটির আলোচনা বর্তমানে ফেসবুকের কারণে ছড়িয়ে পড়েছে বাংলাদেশ ও বিশ্বময়। লেখককে ফোন দিয়ে জেনে নিচ্ছে বিভিন্ন তথ্য। সাম্প্রতিক সময়ে উলিপুর ডট কমের সহ. সম্পাদক জরীফ উদ্দীনের ফেসবুক টাইমলাইনে বইটি নিয়ে পোষ্ট দিলে পাঠকের আনাগোনা হয় উল্লেখ করার মত। উলিপুর ডট কমের পাঠকের জন্য কোন রকম পরিবর্তন না করে পোষ্টটি তুলে ধরা হল।
পূর্বপ্রকাশের পর-
“১৯৪৩ সালে উলিপুরে দুর্ভিক্ষ” হলো ১৬ নম্বর অধ্যায়ের শিরোনাম। ১৯৪৩ খ্রীষ্টাব্দে ৮ ডিসেম্বর কলকাতার দৈনিক জনযুদ্ধ পত্রিকা উলিপুরের দুর্ভিক্ষ নিয়ে কি লিখেছিলো- তা জানতে পারবেন। উলিপুরের কোথায় লঙ্গরখানা খোলা হয়েছিলো সে তথ্য থাকছে।
সতেরো নম্বর অধ্যায়ের শিরোনাম হলো “উলিপুরের পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার লড়াই” এই এলাকায় কারা কারা পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন করেছিলো- তাদের সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোকপাত থাকছে এ অধ্যায়ে।
“উলিপুরে ভাষা আন্দোলন” হলো আঠারো নম্বর অধ্যায়ের সূচী।
“উলিপুরের ইউনিয়নগুলোর সংক্ষিপ্ত পরিচিতি”- হলো উনিশ নম্বর অধ্যায়ের বিষয়বস্তু। প্রতিটি ইউনিয়নের সমৃদ্ধি ইতিহাস থাকছে এ অধ্যায়ে। ইউনিয়নগুলোর আয়তনসহ সমস্ত গ্রাম- পাড়া- মহল্লার নাম থাকছে। থাকছে সেখানকার নদ-নদী-খাল-বিলের বর্ণনা।
বিশ নম্বর অধ্যায় হলো: “উলিপুরে বহিরাগতদের আগমন” শত শত বছর ব্যাপী বহিরাগতরা কেন উলিপুরে আসল? কারা কারা আসল? এদের সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বিবরণ।
একুশ নম্বর অধ্যায় হলো: “উলিপুরের আরও কিছু তথ্য” ১৯০০ সালে চলচিত্রের নির্বাক যুগে উলিপুরে কে সিনেমা হল প্রতিষ্ঠা করল? সিনেমা হলটি কোথায় ছিলো? উলিপুরে কোথায় প্রথম ডাকঘর স্থাপিত হলো? ১৮০৮ খ্রীষ্টাব্দে মণ্টোগোমারী মার্টিন উলিপুরে এসে কি দেখলেন? তার বর্ণনার সূত্র ধরে ১৮৩৮ খ্রীষ্টাব্দে হ্যামিল্টন বুকানন যে গ্রন্থটি প্রকাশ করলেন তার নাম, দি হিস্টোরী, ইন্টিকুইটিস, টফোগ্রাফী এন্ড স্ট্যাটিটিক্স অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়া বইটিতে উলিপুর সম্পর্কে যে তথ্য প্রকাশ করলেন তার হুবহু বাংলা অনুবাদ থাকছে এই অধ্যায়ে। আরও থাকছে সেই সময়কার হাটবাজারের বিবরণ। থাকছে উলিপুর স্টোর কোম্পানি ও লোন কোম্পানি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বর্ণনা। থাকছে বাহারবন্দের জোদ্দারদের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা। জানতে পারবেন উলিপুর চ্যারিটেবল হাসপাতাল সম্পর্কে। সে সময়কার উলিপুরে ক্রীড়াঙ্গণে যারা অবদান রেখেছিলো তাদের সংক্ষিপ্ত বিবরণ।
বাইশ নম্বর অধ্যায়ের শিরোনাম : “উলিপুরের সাংস্কৃতিক আন্দোলন” এ অধ্যায়ে আপনি জানতে পারবেন ১৮৮২ খ্রীষ্টাব্দে উলিপুরে গড়ে ওঠা “উলিপুর সারস্বত নাট্যসমাজ ” সম্পর্কে। ভারতবর্ষের প্রথম রাজনৈতিক দল কংগ্রেস প্রতিষ্ঠারো তিন বছর আগে আমাদের উলিপুরে কারা কারা নাট্য সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করল, সেখানে কি কি নাটক মঞ্চস্থ হতো, ১৯১৫-১৬ খ্রীষ্টাব্দের দিকে উলিপুর নাট্যমন্দির কিভাবে প্রতিষ্ঠা হলো সেখানে কারা অভিনয় করত, নারী চরিত্রে কারা কারা অভিনয় করত? এইসব বিষয়ে জানতে পারবেন। গোবিন্দ জীও মন্দির নিয়ে মহারাজা মণীন্দ্র নন্দীর সঙ্গে ব্রিটিশ সরকারের “অফিসিয়াল যুদ্ধ”।
সবশেষ অধ্যায়ের শিরোনাম হলো: “উলিপুরের মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি পর্ব”। ১৯৭১ সালে সর্বদলীয় সংগ্রাম কমিটি, সর্বদলীয় ছাত্রসংগ্রাম পরিষদ সম্পর্কে জানতে পারবেন। উলিপুরের প্রথম শহিদ কে? কিভাবে তাকে ধরে নিয়ে গিয়ে কুড়িগ্রামে হত্যা করা হলো? এই বিষয়ে জানতে পারবেন।
আগামী পোস্টে থাকছে বইটিতে ব্যবহৃত স্থিরচিত্র সম্পর্কে আলোচনা।
অধিক তথ্য জানতে চাইলে কমেন্ট করুন/ ফোন করুন 01714763190 (আবু হেনা মুস্তফা)