প্রকাশিতব্য আবু হেনা মুস্তফা রচিত “উলিপুরের ইতিহাস” প্রকাশ না হতেই উলিপুরে বইটি নিয়ে বেশ হৈচৈ পড়েছে পাঠক সমাজে। শুধু উলিপুরে থেমে থাকেনি বইটির আলোচনা বর্তমানে ফেসবুকের কারণে ছড়িয়ে পড়েছে বাংলাদেশ ও বিশ্বময়। লেখককে ফোন দিয়ে জেনে নিচ্ছে বিভিন্ন তথ্য। সাম্প্রতিক সময়ে উলিপুর ডট কমের সহ. সম্পাদক জরীফ উদ্দীনের ফেসবুক টাইমলাইনে বইটি নিয়ে পোষ্ট দিলে পাঠকের আনাগোনা হয় উল্লেখ করার মত। উলিপুর ডট কমের পাঠকের জন্য কোন রকম পরিবর্তন না করে পোষ্টটি তুলে ধরা হল।
পূর্বপ্রকাশের পর-
এগারো নম্বর অধ্যায়ের শিরোনাম: “রাজস্ব আদায় পদ্ধতি” উলিপুর থেকে জমিদারি শাসন ব্যবস্থায় কীভাবে রাজস্ব আদায় করা হত- সে বিষয় নিয়ে আলোচনা থাকছে।
বারো নম্বর অধ্যায়ের শিরোনাম: “উলিপুরের অর্থনীতি”। আপনার সদয় অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে অনেক বিশ্বখ্যাত গবেষক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কুড়িগ্রাম জেলাই হল রেশম চাষের আদিভূমি। ১৭৮১ খ্রীস্টাব্দে ১ টাকায় কতোটুকু চাল পাওয়া যেতো উলিপুরে? ১৮৭২ খ্রীস্টাব্দে ১ মন মোটা চালের দাম কতো ছিলো এখানে? উলিপুর থেকে কী কী নামের দেশীয় ধান আর মাছ হারিয়ে গেছে- সে সবের নাম জানতে পারবেন। ১৮৮৫ – ১৯৪০ খ্রীস্টাব্দের মধ্যবর্তী সময়ের বাহারবন্দ পরগণার অর্থনীতি নিয়ে গবেষণার জন্য নব্বই দশকে জাপানি গবেষক কিনোবু কাওয়াই উলিপুরে এসে সেই সময়কার উলিপুরের অর্থনীতি কী বর্ণনা লিখলেন? তা জানতে পারবেন।
“উলিপুরের থানা প্রশাসন” – হলো তেরো নম্বর অধ্যায়। ১৭৯৩ খ্রীস্টাব্দে ইস্ট ইন্ডিয়া কম্পানির ১ নম্বর রেজুলেশনের ৮ নম্বর ধারা এবং ২২ নম্বর রেজুলেশনের ক্ষমতা বলে কেমন করে উলিপুর থানা প্রশাসন সৃষ্টি হলো, তা জানবেন। ১৮০৮, ১৮৭২, ১৯০১ খ্রীস্টাব্দের সরকারি হিসাব মতে উলিপুরের আয়তন কতোটুকু ছিল, তা জানতে পারবেন।
চৌদ্দ নম্বর অধ্যায়ের শিরোনাম: “দেবী চৌধুরানী, ভবানী পাঠক, মজনু শাহ এবং উলিপুর”। এই প্রথম আপনি তাদের সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। দেবী চৌধুরানীর বাড়ী কোনোভাবেই উলিপুরে ছিল না, এবং তিনি আসলে কে? এই নামে দুজন নারী জমিদার পাওয়া যায়- তিনি কোন জন? তার শেষ পরিণতি কী? মজনু শাহ কে? কীভাবে তার মৃত্যু হলো? তার লাশ কোথায় নিয়ে যাওয়া হলো? ভবানী পাঠককে কী উলিপুরে হত্যা করা হয়েছিলো? ফকির- সন্নাসী আন্দোলনের বিষয় কী ছিল? আমাদের উলিপুরের সঙ্গে দেবী চৌধুরানীর, ভবানী পাঠক এবং মজনু শাহের সম্পর্ক কী? – এ বিষয়গুলো জানতে পারবেন এবং আপনার জানা পূর্বের প্রায় সব তথ্যকে নতুন ভাবে বিশ্লেষণ করতে পারবেন। “দেবী চৌধুরানী”কে নিয়ে সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কী অনুরোধ করেছিলেন? আমরা কী তার সেই অনুরোধ রাখতে পেয়েছি? আরো জানতে পারবেন বেগম রোকেয়ার পূর্বপুরুষেরা কীভাবে ফকির-সন্নাসীদের বিরুদ্ধে গিয়ে উলিপুরের জমিদারি লাভ করেছিলেন।
“উলিপুরে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন: স্বদেশী, অসহযোগ ও খেলাফত”- হলো পনেরো নম্বর অধ্যায়ের শিরোনাম। উলিপুরে কীভাবে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে স্বদেশী আন্দোলন গড়ে উঠল? উলিপুরে কীভাবে “অনুশীলন সমিতি” গঠিত হলো? কোথায় ছিলো তাদের অফিস? এই আন্দোলনে কারা কারা ছিলো? কেনো অনেকে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলো? মুন্সীবাড়ীতে কে ডাকাতি করলো? “ডাকাতির সময় উলিপুর নাটমন্দিরে কেন নাটক মঞ্চস্থ হচ্ছিল? বেশ কয়েকজন স্বদেশী আন্দোলনের নেতা-কর্মীর কার্যক্রমের বর্ণনা থাকছে এই অধ্যায়ে। মহাত্মা গান্ধীকে হত্যার পর উলিপুরে তার প্রতিক্রিয়া কী ছিলো? কোন এলাকার নাম বদল করে “গান্ধীতলা” রাখা হয়েছিলো?
(গ্রন্থটির অন্যান্য অধ্যায়ের বিষয়বস্তু থাকছে আগামী পোস্টে।)
অধিক তথ্য জানতে চাইলে কমেন্ট করুন/ ফোন করুন 01714763190 (আবু হেনা মুস্তফা)
পূর্ব পোষ্ট পড়তে এখানে ক্লিক করুন