আব্দুল মালেকঃ
পথচারীকে থাপ্পর মারায় পুলিশের এক এএসআইকে অবরুদ্ধ করে রাখে উত্তেজিত জনতা। পরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে ৩ ঘন্টা পর তাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত মঙ্গলবার সন্ধা ৭ টার দিকে উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নের অনন্তপুর বাজারে।
প্রত্যক্ষদর্শি মানুষ জানান সন্ধা ৭ টার দিকে উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নের হাতিয়া ভবেশ বগাপাড়া গ্রামের রফিকুল ইসলাম (৫০) অনন্তপুর বাজারে পাটখড়ি কিনে গলি দিয়ে যাচ্ছিল। এসময় উলিপুর থানার এএসআই আসাদ মোটরসাইকেলে চড়ে বাজারের গলি দিয়ে প্রবেশ করার সময় পাটখড়ি তার শরীর স্পর্শ করে। এতেই তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ঐ পথচারীকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে চড়-থাপ্পর মারেন। এসময় পথচারী আকুতি মিনতি করে মাফ চাইলেও ক্ষিপ্ত ঐ এএসআইয়ের মন গলেনি। তাকে হ্যান্ডক্যাপ পরিয়ে টেনে হেচড়ে বাজারের শাহীন হোটেলে নিয়ে যায়। এ খবর বাজারে ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ সহশ্রাধিক জনতা ঐ এএসআইকে গণধোলাইয়ের চেষ্টা করে এবং হোটেলে অবরুদ্ধ করে রাখে। খবর পেয়ে উলিপুর থানার এসআই রাজুর নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধারের চেষ্টা চালান। এতেও কাজ না হলে রাত ৯ টার দিকে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হোসেনের শরনাপন্ন হন। পরে পুলিশের এসআই রাজু তার সহকর্মির কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চেয়ে ৩ ঘন্টা পর তাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। স্থানীয় জনতা অভিযোগ করে বলেন, বর্তমানে বন্যাকবলিত এই ইউনিয়নটিতে পুলিশ মাদক উদ্ধারের নামে যত্রতত্র নিরীহ মানুষজনকে আটক করে নানাভাবে হয়রানি করছে। এতে করে স্থানীয় জনতা পুলিশের বেআইনি তৎপরতায় বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। অভিযুক্ত এএসআই আসাদ জানান, সারাদিন দায়িত্ব পালন করে মাথা ঠিক ছিল না। উলিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ এসকে আব্দুল্লাহ আল সাইদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ভুল বোঝাবুঝির কারনে সৃষ্ট ঘটনা স্থানীয় চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপে নিরসন হয়েছে।