নিউজ ডেস্কঃ
উলিপুরে সম্প্রতি বন্যায় ব্রিজ ধ্বসে যাওয়ায় ৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ ১২ টি গ্রামের ২০ হাজার মানুষ সীমাহীন দূর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। ধ্বসে যাওয়া ব্রিজের স্থলে বাঁশের সাঁকো স্থাপন করে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন এলাকার মানুষ। উপজেলার ডিসি-৫০ সড়কের পূর্ব কাশিয়াগাড়ী হতে বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ পর্যন্ত এ রাস্তায় ঘোলদার নামক স্থানে স্থাপিত এই ব্রিজটি সম্প্রতি বন্যার পানির প্রবল স্রোতে ধ্বসে যায়। এর ফলে ব্রিজের দুপাশে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়। প্রথমে কলা গাছের ভেলার সাহায্যে পারাপার হলেও বন্যার পানি নেমে যাওয়ায় উক্ত খালের উপর এলাকাবাসীর সহায়তায় বাঁশের সাঁকো নির্মান করা হয়। নড়বড়ে ওই বাঁশের সাঁকর উপর দিয়ে মোটর সাইকেল, বাইসাইকেল নিয়ে বিভিন্ন ব্যাসায়ী ও ৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীসহ প্রতিদিন ১২ টি গ্রামের মানুষজন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছেন। ফলে প্রতিদিনই ঘটছে ছোট খাঁটো নানা দূর্ঘটনা।
স্থানীয় বাসিন্দা রফিক মিয়া (৪৫) বলেন, আমার জন্মের পর থেকে আমি ব্রিজটা দেখে আসছি, ব্রিজটি ধ্বসে যাওয়ায় যাতায়াতের মারাত্মক সমস্যার সূষ্টি হচ্ছে। ওই এলাকার নজরুল ইসলাম, লিটন মিয়া, সাহাবুদ্দিন, ইউনুস আলী স্বর্ণকার সহ এলাকাবাসীর দাবী এই স্থানে দ্রুত একটি ব্রিজ নির্মান করা হোক। মুন্সিপাড়া রহমানিয়া বালিকা দাখিল মাদ্রাসার সহঃ সুপার মোকছেদ আলী বলেন, আমার বাড়ি অনেক দুরে চাকুরির সুবাদে প্রতিদিন এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হয় ঝুকিপূর্ণ এই ব্রিজের উপর দিয়ে। অন্যথায় কয়েক কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে আসতে হয়। আদর্শ এতিমখানা দ্বী-মুখি আলিম মাদ্রার অধ্যক্ষ মাও. আজিজুর রহমান বলেন, স্কুল-মাদ্রাসার শিক্ষক ছাত্র-ছাত্রী সহ এই এলাকার কয়েক হাজার মানুষের যাতায়াতের এটি একমাত্র রাস্তা। তিনি আরো বলেন, ব্রিজটি ধ্বসে যাওয়ায় মানুষজন যাতায়াতে সীমাহীন দূর্ভোগের স্বীকার হচ্ছেন। ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোন্নাফ আলীর সঙ্গে কথা হলে ব্রিজটি ধ্বসে যাওয়ার কথা স্বীকার করে তিনি বলেন সংশ্লিষ্ট বিভাগে জানানো হয়েছে। উপজেলা প্রকৌশলী নুরুল ইসলাম জানান, বন্যায় বিভিন্ন রাস্তা, কালভার্ট ও ব্রিজের ক্ষয়ক্ষতির তালিকায় ওই ব্রিজটিও আছে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ওই স্থানে ব্রিজ নির্মানের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।