তৃষ্ণাতুর আর্তনাদ
(আতিক মেসবাহ লগ্ন)
স্বার্থের অভিপ্রায়ে সবাই আমাকে নিয়ে টানা-হ্যাচরা করত,
নিজেকে ছন্নছাড়ার মতোই সোপে দিতাম আমি,
কষ্ট আর লাঞনায় নিজেকে খোলশছাড়া করতে চাইনি,
শত ক্ষুধা আর তৃষ্ণায় কাতর থেকেও ছিলাম বাকরুদ্ধ।
আমাকে নিয়ে ছিল এক অসাধারণ বাত্যাবিক্ষুব্ধ যুদ্ধ।
হাজারো ভুখন্ড পেরিয়ে এই বাংলাই আমার তীর্থস্থান,
আর্তসাধে মগ্ন ছিল যে কত খর্বমনের নির্বোধ ধীমান।
কে আমি? কি আমি? শুধায় আমায় এ ধরা,
রক্তিম এক সূর্য আমি, নেইকো আমার জ্বরা।
স্বাধীনতা নামের এক পিপাসার্ত ক্ষুধার্ত পথিক আমি,
জানিনা এ ধরাতলে কতখানি আমি দামী।
শত ক্রোশ ছুটে বেড়িয়ে তৃষ্ণায় আমি কাতর,
হৃদয় গহীনে বসিয়েছো এক করূণাহীন পাথর।
বায়ান্ন চুয়ান্ন আটান্ন উনসত্তরে বস্ত্রহীন ছিলাম আমি,
অন্যহীন রাখার জন্যে কি তবে উদ্বেলিত ছিলে তুমি?
কেমন ছিল শাসক গোষ্ঠীর উদ্ভট শাসন্তন্ত্র?
কে জুগিয়েছিল তোমার মনে বেঁচে থাকার মন্ত্র!!!
ছেচল্লিশটি বছর পেরিয়েও আমি এক বস্ত্রহীন,ক্ষুদার্ত যুবক।
বারংবার বলছ তুমি”হোক,তারুণ্যের জয় হোক”
কোথায় তোমার দেশপ্রেমের উদ্বেলিত শক্তি,
জাগাও তারে,দেখবে বিশ্ব, করবে তোমায় ভক্তি।