আব্দুল মালেকঃ
দুই বাংলার পর এবার লোকগীতি ভাওয়াইয়া উড়াল দিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় পদার্পন করছে। সে দেশে মাটি ও মানুষের মাঝে ধ্বনি ও প্রতিধ্বনিত হয়েছে ওকি গাড়ীয়াল ভাই হাকাও গাড়ী তুই চিলমারীর বন্দরে।
উত্তরবাংলার প্রখ্যাত ভাওয়াইয়া শিল্পী বাংলাদেশ ভাওয়াইয়া একাডেমীর পরিচালক ভাওয়াইয়া ভাস্কর ভূপতি ভূষণ বর্মা ভাওয়াইয়া গান পরিবেশন করে দুই বাংলার মাঝে এতদিন সীমাবদ্ধ থাকলেও এবার উড়াল দিয়ে বিদেশের মাটিতে তারই কন্ঠে পরিবেশিত হয়েছে এ লোকগীতি। বাংলাদেশের কৃষ্টি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে তুলে ধরে লোকগীতি ভাওয়াইয়া গান পরিবেশনের মাধ্যমে বিশেষ ভুমিকা পালন করছেন এই ভাওয়াইয়া ভাস্কর।
সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের ব্যবস্থাপনায় দক্ষিণ কোরিয়া’র সর্ববৃহৎ বহুজাতিক অভিবাসী সাংস্কৃতিক উৎসবে যোগ দিতে বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নুর ও রাষ্ট্রদুত জুলফিকার রহমান এর নেতৃত্বে ৩০ সদস্যের একটি সাংস্কৃতিক দল গত ২৬ সেপ্টেম্বর রাত ১২টা ৫০ মিনিটে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে দক্ষিণ কোরিয়ার উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেন। দক্ষিণ কোরিয়ার ছাংউয়ন ইয়ংজি কালচারাল পার্কে গত ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে গত রোববার (১ অক্টোবর) পর্যন্ত ৩দিন ব্যাপী সেখানে বহুজাতিক অভিবাসী সাংস্কৃতিক উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। এ উৎসবে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক দলে ভাওয়াইয়া শিল্পী ভূপতি ভূষণ বর্মা ছাড়াও অন্যদের মধ্যে রয়েছেন কুদ্দুস বয়াতী, ব্যান্ড লালন নিগার সুলতানা সুমি, নৃত্য শিল্পী সাদিয়া ইসলাম মৌ, ফারহানা খানসহ দেশবরণ্য ফোক ও আধুনিক যন্ত্রী ও শিল্পীগন।