নিউজ ডেস্কঃ
উলিপুরে এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে সরকারি রাস্তার জীবিত গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। গাছ কর্তনের ৩ দিন পর গত বৃহস্পতিবার সহকারী কমিশনার (ভূমি) বিকালে স্থানীয় একটি ছ’মিল থেকে প্রায় ৭০ হাজার টাকা মূল্যের ঐ গাছের মূল অংশ জব্দ করেছে।
জানা গেছে, উপজেলার গুনাইগাছ ইউনিয়নের নাগড়াকুড়া থেকে সাতদরগাহ্গামী রাস্তায় থাকা বিশাল আকৃতির একটি জীবিত রেন্ট্রি কড়াই গাছ ৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবুল কাশেম অত্যান্ত গোপনে ৫৫ হাজার টাকায় স্থানীয় কাঠ ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলমের কাছে বিক্রি করে। গত ১৮ সেপ্টেম্বর ঐ ইউপি সদস্যের চাচাত ভাই জয়নাল আবেদীন উপস্থিত থেকে গাছটি কাটতে গেলে স্থানীয় জনতা বাঁধা দেয় এবং এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়। পরবর্তীতে বিষয়টি ওই ইউনিয়নের গ্রাম্য পুলিশ প্রেমানন্দ লিখিত ভাবে ইউপি’র চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ খোকাকে জানান। চেয়ারম্যান তাৎক্ষনিকভাবে গাছ কর্তনের বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে লিখিত ভাবে জানালে তিনি সহকারী কমিশনার(ভূমি), থানার অফিসার ইনচার্জকে তদন্ত সাপেক্ষে আইনী ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য পত্র প্রেরণ করেন। পত্র পাওয়ার পর সহকারী কমিশনার (ভূমি) মর্তুজা আল মুঈদ ইউপি চেয়ারম্যানসহ ছ’মিলে গিয়ে গুড়িগুলো জব্ধ করে ছ’মিলের মালিক নুর মোহাম্মদ আমিনের জিম্মায় রেখে দেন এবং গাছ কর্তনের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনী প্রক্রিয়া শুরু করেন।
স্থানীয় লোকজনের মতে গাছটির মূল্য ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা হবে। অভিযোগ রয়েছে, ঐ ইউপি সদস্য ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য মিলে দীর্ঘদিন ধরে ঐ ইউনিয়নের বিভিন্ন রাস্তার সরকারী মূল্যবান জীবিত গাছ কর্তন করে লাখ লাখ টাকা পকেটস্থ করে। সরকারি গাছ কর্তন করলেও স্থানীয় লোকজন তার ভয়ে মূখ খোলার সাহস পায় না। থানার অফিসার ইনচার্জ এসকে আব্দুল্লাহ আল সাইদ জানান, সহকারী কমিশনার(ভূমি) তদন্ত প্রতিবেদন দেয়া মাত্র আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। ইউপি সদস্য আবুল কাশেমের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে য়ে অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পূর্ন মিথ্যা। আমি এ ব্যাপারে কোন কিছু জানিনা।