আব্দুল মালেকঃ
এক মহিলার হাত বাধা, গলায় রশি লাগানো অবস্থায় বাড়ির পাশের ধান ক্ষেত থেকে মুমূর্ষ অবস্থায় এলাকাবাসি উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। আজ বৃহস্পতিবার বজরা ইউনিয়নের কালপানি বজরা গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে।
এলাকাবাসি ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঐ গ্রামের মৃত জহুর উদ্দিনের স্ত্রী দুই কন্যা সন্তানের জননী ফাতেমা বেওয়া (৬৫) স্বামীর রেখে যাওয়া ৫ শতক বসতভিটায় ২ কন্যার বিবাহের পর দীর্ঘদিন ধরে একাকি বসবাস করে আসছেন। প্রতিবেশি সম্পদ লোভী মোহাম্মদ আলী ফাতেমা বেওয়াকে তার বসতভিটা বিক্রির জন্য প্রস্তাব দেয়। এতে ঐ বিধবা রাজি না হওয়ায় বিভিন্ন সময় তার উপর শারীরিক ও মানষিকভাবে নির্যাতন করে আসছেন। ঘটনার দিন রাতে ফাতেমা অন্য দিনের ন্যায় রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। পরদিন সকালে (বৃহস্পতিবার) হাত বাধা, গলায় রশি এবং মুখের ভিতর কাপড় ঢুকানো অবস্থায় বাড়ির পাশের ধান ক্ষেত থেকে মুমূর্ষ অবস্থায় এলাকাবাসি তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মায়ের পাশে মেয়ে আনিচা বেগম কান্ন জড়িত কন্ঠে জানান, আমার মাকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে মোহাম্মদ আলী ও তার পরিবারের লোকজন পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। তিনি আরো জানান, গত সোমবার (২১ আগষ্ট) মোহাম্মদ আলী, তার স্ত্রী ফাতেমা, ছেলে মুকুল পুত্রবধূ বিকাল ৩টার দিকে আমার মাকে বাড়িতে এলোপাতারি মারপিট করে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার রফিকুল ইসলাম জানান, অসুস্থ্য ওই বৃদ্ধ মহিলাকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। ভারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যান ফয়েজ আহমেদ ঘটনার সত্যতা সাবীকার করে বলেন, এটা চরম অন্যায় করেছে। এর সঠিক বিচার হওয়া দরকার। থানার এস.আই মোঃ মোজাম্মেল হক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ঘটনা স্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। থানা অফিসার ইনচার্জ এস কে আব্দুল্ল্যাহ আল সাইদ জানান, অভিযোগ পেয়েছি, মামলার প্রস্তুতি চলছে।