নিউজ ডেস্কঃ
গত ২২ ও ২৩শে আগস্ট কুড়িগ্রাম সমিতি, ঢাকা – এর উদ্যোগে ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কুড়িগ্রাম জেলার বিভিন্ন উপজেলার অসহায় মানুষের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরন করা হয়। সমিতির এ কার্যক্রম সমগ্র জেলার দুর্গত অঞ্চলগুলোতে বিভিন্ন দল ও উপদলের মাধ্যমে সুচারুভাবে হয়েছে এবং সমিতি প্রায় ১৩০০ টি দুর্গত পরিবারকে ত্রাণ দিতে সক্ষম হয়েছে। এর মধ্যে ফুলবাড়ি উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের চর পশ্চিম ধনিরাম এবং পাট খাওয়ার চরে ২২৫ পরিবার, ভুরুঙ্গামারী উপজেলার আন্ধারিঝার ইউনিয়নের হেলোডাঙ্গার চর, চর ধাউরারকুঠি এবং পাইকার ছড়া ইউনিয়নের পাইকার ছড়া চরে ২৫০ পরিবার, নাগেশ্বরী উপজেলার নুনখাওয়া ইউনিয়নের ধরকার চর এবং ব্যাপারীর চরের ১৫০ পরিবার, কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার পাঁচগাছি ইউনিয়নের গারুহারা গ্রাম, যাত্রাপুর ইউনিয়নের চর কলাবাগান এবং প্রথম আলোর চর, ঘোগাদহ ইউনিয়নের চর ভগপতপুর চরে ৩০০ পরিবার, চিলমারী উপজেলার নয়ারহাট ইউনিয়নের ফেইসকের চরে (বাদলের মোড়) ১৫০ পরিবার, উলিপুর উপজেলার সাহেবের আলগা ইউনিয়নের হকের চর এবং উত্তর খাওরিয়ার চরের ২০০ পরিবার ত্রাণ পেয়েছে। এসব পরিবারের মাঝে চাল, ডাল, আলু, সরিষার তেল, লবন, সাবান, ম্যাচলাইট এবং সবজির বীজ বিতরন করা হয়। এছাড়া শিশুদের মাঝে বিস্কুট বিতরন করা হয়।
সমিতির পক্ষ থেকে দুর্গত অঞ্চলের অসহায় মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরন করেন – কুড়িগ্রাম সমিতি, ঢাকা’র মহাসচিব জনাব মোঃ সাইদুল আবেদীন ডলার, যুগ্ম-মহাসচিব জনাব টি এম মিজানুর রহমান, নির্বাহী সদস্য মিসেস মোমেনা বেগম প্রমুখ। বিতরণে সহায়তা করেন বিপুল ঘোষ, রেল-নৌ, যোগাযোগ ও পরিবেশ উন্নয়ন গনকমিটি, কুড়িগ্রাম ক্রীড়া উন্নয়ন সমিতি, স্বেচ্ছায় রক্তদান সংগঠন বাঁধন এবং স্থানীয় পর্যায়ের স্বেচ্ছাসেবকগন।
দুই দিনের ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম শেষে সমিতির মহাসচিব জনাব মোঃ সাইদুল আবেদীন ডলার জানান, বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে বুঝলাম দুর্গত মানুষগুলোর আরও অনেক সহযোগিতা প্রয়োজন। বিশেষ করে যাদের ঘরবাড়ী, ফসল বা গবাদি পশুর ক্ষতি হয়েছে তাদের পুনর্বাসন করা অত্যন্ত জরুরী। তিনি এ ব্যাপারে দেশের সরকার ও সমাজের বিত্তশালীদের এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন। এছাড়া দীর্ঘমেয়াদী সমাধানের জন্য তিনি সরকারের কাছে কুড়িগ্রাম জেলার ১৬টি নদীর খনন ও ৪২০টি চরের সংস্কারের দাবী জানান।
1 Comment
Pingback: জেলাব্যাপী ঢাকাস্থ কুড়িগ্রাম সমিতির দুই দিনের ত্রাণ কার্যক্রম – RajarhatBD.com