আব্দুল মালেকঃ
প্রথম শ্রেণির ছাত্রী আরজিনা নানার বাড়ী থেকে অপহরণ হওয়ার ১২ দিন পর র্যাবের সহায়তায় গত শুক্রবার রাতে রংপুর শহরে পুলিশের এক এস.আই এর বাসা থেকে জীবিত উদ্ধার করেছে এলাকাবাসী। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান গত শনিবার সকাল ১১ টায় শিশুটিকে তার মামা মোন্নাফ আলীর হাতে তুলে দিলে এলাকার মানুষের মাঝে স্বস্থি ফিরে আসে।
জানা গেছে, রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার বাহাবিলি গ্রামের দরিদ্র আক্কাশ আলী ও মরিয়ুম বেগমের কন্যা আরজিনা উলিপুর উপজেলার ধরনীবাড়ী ইউনিয়নের রুপার খামার গ্রামে নানা মমিজ উদ্দিনের বাড়ীতে থাকেন। তারা বাবা মা ঢাকায় শ্রমিকের কাজ করেন। শিশুটি নানাবাড়ী থেকে রুপার খামার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণিতে অধ্যায়নরত। গত ৬ আগষ্ট সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তার নানী পার্শ্ববর্তী বাড়ীর এক প্রতিবেশী নানী বিবিজানকে ডাকতে পাঠান। এরপর শিশুটিকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। এ ব্যাপারে পরদিন উলিপুর থানায় সাধারণ ডায়রী লিপিবদ্ধ করা হলেও পুলিশ তাকে উদ্ধারে নির্বিকার থাকে। ঘটনার পর থেকে স্থানীয় চেয়ারম্যান এলাকার কয়েক ব্যক্তিকে নিয়ে নিবির ভাবে বিষয়টি পর্যবেক্ষন করেন এবং রংপুর র্যাব-১৩ এ লিখিত অভিযোগ করেন।
এ দিকে গত শুক্রবার রাত ৮টার দিকে আকস্মিক ভাবে খবর আসে শিশুটি রংপুরে আছে। এরপরই মাইক্রোযোগে ধরনীবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম ফুলু’র নেতৃত্বে স্থানীয় ৫ ব্যক্তি রাত ১২টার দিকে রংপুর শহরে পৌঁছে। শিশুটি মুন্সীপাড়াস্থ পুলিশের এস.আই আবু বক্কর এর ভাড়াবাসায় রয়েছে নিশ্চিত হবার পর চেয়ারম্যান র্যাব-১৩ কে বিষয়টি অবহিত করেন। এরপর র্যাবের উপস্থিতিতে চেয়ারম্যান তার লোকজন নিয়ে ঐ বাসা থেকে রাত ১টার দিকে শিশুটিকে উদ্ধার করে ধরনীবাড়ী ইউনিয়নে নিয়ে আসে।
পুলিশ অফিসারের স্ত্রী চেয়ারম্যানকে জানান তিনি কিছুদিন আগে তার পূর্ব পরিচিত এক ব্যক্তিকে জানিয়েছেন দুঃস্থ্য পরিবারের এতিম অসহায় শিশু পেলে দত্তক নিবেন। এরই প্রেক্ষিতে ১২ দিন আগে এই শিশুটিকে জনৈক ব্যক্তি নিয়ে আসে। শিশুটিকে অপহরণ করে আনা হয়েছে, সেটি তার জানা ছিল না। তিনিও অপহরনের সাথে জড়িত ব্যক্তির বিচার দাবী করে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের নাম র্যাবকে অবহিত করেন।