আব্দুল মালেকঃ
উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত শোক র্যালিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ১১জন আহত হয়েছে। সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ টিয়ার শেল নিক্ষেপ ও লাঠি চার্জ করে। আহতদের মধ্যে ৫ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। দুই গ্রুপের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। সংঘর্ষের আশঙ্কায় শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রুবেল জানান, তারা তাদের সংগঠনের শোক র্যালি শেষে উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত শোক র্যালিতে ব্যানার নিয়ে যোগ দেন। মিছিলটি শহরের প্রধান সড়কের ওকে হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টের সামনে পৌঁছিলে একদল দুর্বৃত্ত্ব প্রথমে ব্যানার নিয়ে টানা হেঁচরা শুরু করে। এরপর তাদের উপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। এতে চাপাতি, রামদা, ও ক্ষুরের আঘাতে তাদের ৬ কর্মী আহত হয়। এরা হলেন, রুবেল, জাহিদ হাসান, মনজিদুল আজম রাজা, জিহাদ হোসেন, আজিজুল ইসলাম ও আব্দুর রহিম। তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এরমধ্যে রুবেলের অবস্থা গুরুত্বর।
উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক প্রিতম সরকার জানান, উপজেলা সম্মেলন বাতিল করে জেলা কর্তৃক পকেট কমিটি গঠন করা নিয়ে ছাত্রলীগের মধ্যে অসন্তোষ চলে আসছিল। আজ মঙ্গলবার সকালে দলীয় কার্যালয়ে পতাকা উত্তোলন করা নিয়ে বাকবিতন্ডার সৃষ্টি হয়। পরে উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত শোক র্যালিতে বর্তমান কমিটির কতিপয় সদস্য রামদা, ক্ষুর, চাপাতিসহ তাদের উপর অতর্কিত হামলা করে। এতে মনিরুল ইসলাম নয়ন, কৌনিক পান্ডে, নাজমুল ইসলাম, রাজু মিয়া ও জয় আহত হয়। আহতরা উলিপুর ডক্টরস কমিউনিটি ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি চলে গেছে বলে তিনি জানান।
থানার অফিসার ইনচার্জ এস কে আব্দুল্ল্যাহ্ আল সাইদ জানান, পূর্ব বিরোধের জের ধরে শোক মিছিলে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে টিয়ারশেল নিক্ষেপ ও লাঠি চার্জ করা হয়। শান্তি বজায় রাখতে ১ প্লাটুন অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে উভয় পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।