মোঃ আতিক মেসবাহ লগ্নঃ
বিদায়ের মুহূর্তে নিজেকে যেন নতুন ভাবে সাজিয়ে নিচ্ছে শ্রাবণ। বর্ষণমুখর বর্ষার এই বিদায় লগ্নে নিজেকে পুর্ণদমে মেলে ধরছে সে। শুধু সজীবতা আর স্নিগ্ধতা নয়, মানবজীবনকে চরম দূর্ভোগে ফেলে দিচ্ছে একটানা বৃষ্টিপাত। গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে একটানা বৃষ্টিপাত হওয়া ও তিস্তানদীর পানি বিপদসীমা থেকে কয়েক সেঃমিঃ উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় চরম দূর্ভোগ আর ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছে উলিপুর উপজেলার তিস্তাপাড় ঘেষা এই ইউনিয়নের বাসিন্দারা। পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার অভাব এবং জলাভূমি ভরাটজনিত কারনে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে এলাকাজুড়ে। একদিকে বন্যা আরেক দিকে জলাবদ্ধতা। তিস্তা ও বুড়ি তিস্তার আশেপাশের এলাকার সিংহভাগই এখন বন্যার পানিয়ে প্লাবিত। ইউনিয়নের ঠুটাপাইকর, কদমতলা, কর্পূরা ও বসুনীয়াপাড়ার বাধ সংলগ্ন এলাকাজুড়ে শুধু পানি আর পানি।
বন্যার কারণে তিস্তাপাড়ের মানুষ চরম ভোগান্তিতে ভুগছে। নিজেদের সন্তান-সন্ততি ও গবাদি পশুকে নিয়ে তারা খুব জীর্ণভাবে ঘরে মাঁচা তৈরি করে থাকছে। বেশির ভাগ পরিবারেই চুলা জ্বলছে না। বাধ সংলগ্ন এলাকার আঃ লতিফ নামের এক ব্যাক্তি উলিপুর ডট কমকে বলেন “আইজ দুই দিন থাকি হামরা না খায়া আছি।”
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এলাকায় পানির উচ্চতা বেড়েই চলেছে। অনেকেই বিভিন্ন পানিবাহিত রোগে ভুগছে। বন্যার্ত এলাকার লোকজন না খেয়ে জীবন যাপন করছে।
ছবিতে দলদলিয়া ইউনিয়নের বন্যার সর্বশেষ অবস্থার কিছু স্থিরচিত্রঃ