নিউজ ডেস্কঃ
বুড়াবুড়ী ইউনিয়নের শিক্ষা-সংস্কৃতির প্রধান আলোকবর্তিকা বুড়াবুড়ী উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর পূর্ণ করেছে এ বছর। ১৯৬৭ সালে প্রতিষ্ঠিত নিভৃত গ্রামাঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি ঈর্ষণীয় নানা গৌরবোজ্জ্বল অর্জনে স্বনামে ঔজ্জ্বল্য ছড়িয়ে যাচ্ছে। উত্তরবঙ্গ তথা সমগ্র বাংলাদেশের চিকিৎসাক্ষেত্রে কিংবদন্তি সার্জারি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মো. আক্কাছ আলী সরকার, রুয়েটের রসায়ন বিভাগের প্রভাষক মাঈদুল ইসলামসহ অসংখ্য গুণীজনের মেধাবিকাশের আঁতুরঘর হিসেবে গুরুদায়িত্ব পালন করেছে বিদ্যালয়টি। দারিদ্র্য, অজ্ঞতা, কুসংস্কার, অসচেতনতাসহ নানাবিধ প্রতিকূলতা অতিক্রম করে সুশিক্ষিত ও স্বনির্ভর সমাজ প্রতিষ্ঠাকল্পে বিদ্যালয়টি অগ্রগামী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত।
এদিকে প্রতিষ্ঠার পঞ্চাশ বছরে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে ঈদুল আযহার চতুর্থ দিন পুনর্মিলনী আয়োজনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বিদ্যালয়টির সুবর্ণজয়ন্তীতে পুনর্মিলনী উদ্যাপনের খবরটি আবেগময় আনন্দবার্তা হিসেবে ছড়িয়ে পড়ায় ইউনিয়নজুড়ে ব্যাপক আনন্দমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। এরই মধ্যে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা গত ৭ আগস্ট প্রস্তুতিমূলক আলোচনার মাধ্যমে কামরুল হুদা লুইসকে আহ্বায়ক করে ২১ সদস্যের একটি আয়োজক কমিটি গঠন করে। এ প্রসঙ্গে কামরুল হুদা লুইস জানিয়েছেন, “সূবর্ণ জয়ন্তীতে আমরা সকলে মিলিত হতে চাই। ১৯৬৭ সাল থেকে ২০১৭ পর্যন্ত সকল ব্যাচের শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে। আশা করছি শিকড়ের টানে আনন্দমুখর পরিবেশে পুনর্মিলিত হবার এ প্রচেষ্টায় সকলের আশানুরূপ সাড়া পাওয়া যাবে।”