নিউজ ডেস্কঃ
উলিপুর থানা পুলিশের ধাওয়া খেয়ে তিস্তা নদীতে লাফিয়ে পরে নিখোঁজ হয় আবুল কালাম। ৫ দিন পর তার লাশ গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের তিস্তা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
জানা গেছে, গুনাইগাছ ইউনিয়নের নেফড়া গ্রামের মৃত বাচ্চা মিয়ার পুত্র ৪ সন্তানের জনক আবুল কালাম (৪৫) নাগড়াকুড়া গ্রামের টি-বাঁধের উত্তর দিকে নদীর উপকন্ঠে কয়েকজন মিলে তাস খেলছিল। ওই দিন বিকেলে সাদা পোষাকধারী পুলিশের একটি দল ওযারেন্টভূক্ত আসামী ধরতে স্থানীয় নাগড়াকুড়া বাজারে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ তাসারুদের ধাওয়া করে। এ সময় অন্য খেলোয়াররা পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও আবুল কালাম, সাইদুল ইসলাম (৪০) ও শাহীন মিয়া (৩৫) পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে নদীতে লাফিয়ে পড়ে। সাইদুল ও শাহীন সাঁতরিয়ে তীরে ভীড়লেও আবুল কালাম নিখোঁজ হয়। নিখোঁজ হওয়ার ৫ দিন পর পরিবারের লোকজন খবর পেয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের বেলকা ঘাট এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসে।
মৃত কালামের ১১ বছরের কন্যা কলি আখতার, স্ত্রী আমেনা বেগম (৪০), বড় ভাই তছলিম উদ্দিন (৫৫) সহ পরিবারের দাবি পার্শবর্তী নেফড়া গ্রামের সাহেব আলীর পুত্র মুকুল মিয়া (৩৬) যদি আবুল কালামকে মোবাইল ফোন দিয়ে ডেকে নিয়ে না যেতো তাহলে এ অকাল মৃত্যুর ঘটনা ঘটতো না।
গুনাইগাছ ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ খোকার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্ট করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। উলিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ এস কে আব্দুল্ল্যাহ আল সাইদ লাশ উদ্ধার হওয়ার কথা স্বীকার করেন।