উলিপুর থানা পুলিশের ধাওয়া খেয়ে ৩ জন তাস খেলোয়ার তিস্তা নদীতে ঝাঁপ দিয়ে পালানোর সময় ২জন সাঁতরিয়ে তীরে ভীড়লেও আবুল কালাম নামের এক যুবক নিখোঁজ হয়ে যায়। গতকাল সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রংপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স’র ডুবুরীদল অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও তাকে উদ্ধার করতে পারেনি। ঘটনাটি ঘটেছে, উপজেলার গুনাইগাছ ইউনিয়নের নাগড়াকুড়া গ্রামের টি-বাঁধ এলাকায়।
প্রত্যক্ষদর্শি সূত্রে জানা গেছে, গত রোববার বিকেলে উপজেলার গুনাইগাছ ইউনিয়নের নেফড়া গ্রামের মৃত বাচ্চা মিয়ার পূত্র আবুল কালাম (৩৫) ও তার সহযোগি সাইদুল ইসলাম (৪০), শাহিন মিয়া (৩৫)সহ আরও কয়েকজন টি-বাঁধের উত্তর দিকে নদীর উপকন্ঠে কয়েকজন মিলে তাস খেলার আসর বসায়। ঐদিন বিকেলে পুলিশের একটি দল সাধারণ পোষাকে ঐ এলাকার ওযারেন্টভূক্ত আসামী ধরতে স্থানীয় নাগড়াকুড়া বাজারে যায়। এ সময় স্থানীয় লোকজন তাস খেলার খবর পুলিশকে দিলে তারা ঐ স্থানে গিয়ে ধাওয়া করে। এসময় অন্য খেলোয়াররা পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও আবুল কালাম, সাইদুল ও শাহিন পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে নদীতে লাফিয়ে পড়ে। সাইদুল ও শাহিন সাঁতরিয়ে তীরে ভীড়লেও আবুল কালাম নিখোঁজ হয়। এ ঘটনায় টি-বাঁধ এলাকায় হাজার হাজার মানুষের ভীড় জমে।
এলাকাবাসী শামিম পারভেজ (৪৫), বিশ্বানাথ দাস (৫২), নুর কালাম (১৭), মানিক মিয়া (৫৫) ও নিখোঁজের বড় ভাই তছলিম উদ্দিনের (৬০) দাবী পুলিশের ধাওয়া খেয়ে আবুল কালাম আজাদ নদীতে ঝাঁপ দেওয়ার পর থেকে নিখোঁজ রয়েছেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত লাশ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
গুনাইগাছ ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ খোকা বলেন, এটা নিচ্ছক একটা দূর্ঘটনা। থানার অফিসার ইনচার্জ এস,কে আব্দুল্ল্যাহ আল সাইদ বলেন, পুলিশের ধাওয়া খেয়ে বলবো না, পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা বিশৃঙ্খল ভাবে চেষ্টা করে পালায়ে যাওয়ার জন্য। একজন পড়েছে, আর তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, এটাই এলাকা সূত্রে জানা গেছে।