জরীফ উদ্দীন, উলিপুর ডট কমঃ
কালের বিবর্তণে আমাদের চোখের সামনে থেকে হারিয়ে যাচ্ছে কত চেনা জানা পল্লি মাতার ধন। সেই হারিয়ে যাওয়া বস্তুগুলোকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে দেখাতে এবং কালের স্বাক্ষী করে রাখতে একের পর এক দুর্লভ বস্তু সংগ্রহ করতে যাত্রা শুরু কছিমউদ্দিন লোকশিল্প সংগ্রহ শালার। ইতি মধ্যে সংগ্রহ জমা হয়েছে পল্লি মায়ের অনেক দুর্লভ বস্তু। যা দেখতে প্রতিদিন ভীর জমায় দর্শণার্থীরা।
গত ২১ জুলাই ২০১৭ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশ ভাওয়াইয়া একাডেমি উলিপুর, কুড়িগ্রামের হিতাকাঙ্খী সংগীত অনুরাগী ব্যক্তি মো. রওশন আলী পঞ্চগড় জেলার গনাগছ, ভজনপুর, তেতুলিয়ার মোঃ রুবেল হোসেনের বাড়ি থেকে বিলুপ্ত দুর্লভ ২টি শাল কাঠের (লোহার হাল বা বেড় যুক্ত) গরুর গাড়ির চাকা সংগ্রহ করেন। পরে মূল্যবান চাকা দুটি ২২ জুলাই বিকেল ৩ ঘটিকায় বাংলাদেশ ভাওয়াইয়া একাডেমি পাঁচপীর, উলিপুর, কুড়িগ্রাম পরিচালিত কছিমউদ্দিন লোকশিল্প সংগ্রহ শালায় সংরক্ষণ করা হয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ভাওয়াইয়া একাডেমির পরিচালক ভূপতি ভূষণ বর্মা ও সংগ্রহ শালার পরিচালক সুজন রায়।
ভাওয়াইয়া একাডেমির পরিচালক ভূপতি ভূষণ বর্মা আমাদের প্রতিনিধিকে বলেন, বিলুপ্ত গরুর গাড়ির চাকা দুটি সংগ্রহশালার মান উন্নয়নে তথা শ্রীবৃদ্ধিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। বিলুপ্ত গরুর গাড়ির চাকা সংগ্রহে বিশেষ ভূমিকা রাখায় রওশন আলীকে একাডেমির পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা ও অভিনন্দন জানানো হয়।
কছিমউদ্দিন লোকশিল্প সংগ্রহ শালার পরিচালক সুজন রায় উলিপুর ডট কমের মাধ্যমে ভাওয়াইয়া ও সংগ্রহশালা প্রেমীদের বলেন, যারা এই চাকাসহ অন্যান্য বস্তু দিয়ে আমাদের সংগ্রহ শালাকে শ্রীবৃদ্ধি করেছেন তাদের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতা। আপনাদের বাড়ীর ফেলনা বস্তুগুলো আমাদের দিয়ে সহযোগিতা করে ইতিহাসের স্বাক্ষী হতে পারেন। তিনি সবাইকে এ লোকশিল্প সংগ্রহশালা দেখার সাদর আমন্ত্রণ জানান।