আব্দুল মালেকঃ
দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া এমপি বলেন, এ সরকারের সময়ে কোন ভানবাসি মানুষ না খেয়ে থাকবে না, বন্যা মোকাবেলায় সব রকম প্রস্তুতি রয়েছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ ও নদী ভাঙ্গনের শিকার প্রত্যেকটি পরিবারকে পুর্নবাসন করা হবে। তিনি হুসিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, বানভাসি মানুষের ত্রান নিয়ে কোন অনিয়ম সহ্য করা হবে না।
পুর্ণবাসন প্রক্রিয়া যাতে কেউ প্রশ্নবিদ্ধ করতে না পারে এ জন্য প্রশাসনসহ দলীয় নেতাকর্মী ও জনপ্রতিনিধিদের সজাগ থাকার আহবান জানান। এর অন্যথা হলে তাকে ছাড় দেয়া হবে না। ত্রাণ নিয়ে কোন দূর্নীতি সহ্য করা হবে না। তিনি আরো বলেন, এ অঞ্চলের বন্যা মোকাবেলায় স্থায়ী সমাধান খুঁজছে সরকার। গতকাল দুপুরে উলিপুর উপজেলার বজরা ইউনিয়নের চাদনী বজরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে বন্যার্ত মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ কালে সংক্ষিপ্ত সুধি সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় বক্তব্য রাখেন দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব শাহ কামাল। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাফর আলী, জেলা প্রশাসক আবু সালেহ মোঃ ফেরদৌস খান, পুলিশ সুপার মেহেদুল করিম, উলিপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হায়দার আলী মিঞা, চিলমারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শওকত আলী সরকার বীরবিক্রম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, সহকারি কমিশনার (ভূমি) মর্তুজা আল মুইদ, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার খন্দকার মোঃ ফিজানুর রহমান, থানা অফিসার ইনচার্জ এসকে আব্দুল্ল্যাহ আল সাইদ, বজরা ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব রেজাউল করিম আমিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম হোসেন মন্টু, বজরা এলকে আমিন ডিগ্রিী কলেজের অধ্যক্ষ আহসান হাবিব রানা, আওয়ামী লীগ নেতা সৌমেন্দ্র প্রসাদ পান্ডে গবা, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ সরকার, বজরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মাওঃ রেফাকাত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক তারেকুজ্জামান তুমুল আমিন প্রমূখ। এর আগে সকালে মন্ত্রী সড়ক পথে চিলমারী উপজেলার শাখাহাতী চর গ্রামে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ ১ হাজার পরিবারের মাঝে ত্রান বিতরন করেন। এরপর তিনি উলিপুরের বজরা ইউনিয়নের ১ হাজার ২ শত বন্যার্ত মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।