মোঃ মাঈদুল ইসলামঃ
উলিপুর উপজেলা এখন সবুজে ভরে উঠেছে। উলিপুরের মাঠ-ঘাট, নদী-নালা, খালবিল, আঁকাবাঁকা মেঠো পথ থেকে শুরু করে মহাসড়ক, যে পথেই যান না কেন সবুজ দৃশ্য দেখে আপনার চোখ জুড়িয়ে যাবে। লিক লিক করে বেড়ে ওঠা গাছের পাতা ও ডালে ডালে পাখিদের ছোটোছুটি দেখে এক নিমিষেই ভরে উঠবে আপনার হৃদয় মন। সবমিলিয়ে অন্যরকম এক ভালোলাগা দৃশ্য চোখে পড়বে উলিপুর উপজেলার প্রতিটি জায়গায়।
দৃষ্টির ক্ষমতায় যতদূর চোখ যায় শুধু সবুজ আর সবুজ। সবুজের সমারোহে চোখ জুড়িয়ে যায়। যেদিকে চোখ যায় সবুজ স্বপ্নে ব্যাকুল হয়ে ওঠে সবুজ মন।
ঈদের ছুটিতে বেড়াতে গিয়ে সরেজমিনে দেখতে পেয়েছি উলিপুর উপজেলার নয়নাভিরাম এই সবুজের দৃশ্য। গাছের সবুজ পাতা আর ঝিরঝির বাতাসে অন্যরকম একটা অনুভূতি পেয়েছি আমি। তাই যতদিন বাড়িতে ছিলাম মনে হয়েছে আমি যেনো এক সবুজের স্বর্গরাজ্যে।
বর্ষার আগমনীতে নিমজ্জিত মাঠের ফসল, হিজল গাছ, বরই গাছ, লতাগুল্ম আর বীরুৎ জাতের ছোট ও ছড়ানো গাছগাছালি আবার জেগে উঠেছে নতুন করে। নদীনালা, খালবিল, মাঠঘাট পানিতে কিছুটা ভরপুর হয়ে গেছে। গাছপালা নতুন পত্রপল্লবে ভরে উঠেছে, উর্বর হয়ে ওঠেছে ফসলের ক্ষেত।
উলিপুর উপজেলার গৃহবাসী মানুষের কাছে বর্ষার এই ভরভরান্ত দৃশ্য খুবই আনন্দের। ছোট ছেলেমেয়েরা কলার ভেলা বা কেয়াপাতার নৌকা ভাসিয়ে আনন্দ করে। বৃদ্ধরা ঘরে বসে পান–তামাক খায়। কেউবা খোশ গল্পে মেতে ওঠে।
বর্ষাঋতুর সঙ্গে উলিপুরের মানুষের একটা নিবিড় আত্নীয়তা আছে। বর্ষায় প্রকৃতির অপরূপ দৃশ্য উলিপুরবাসীর মনেও গভীর প্রভাব ফেলে যায়। বর্ষার রূপ, রং, ভেজা গন্ধ-সব কিছুই আপন মহিমা আর সৌন্দর্যে ভাস্বর। শুনেছি সবুজ দৃশ্য দেখলে চোখের দৃষ্টি ভালো হয় তাইতো উলিপুরে এক সপ্তাহ ছুটি কাটিয়ে ঢাকায় আসার পর চোখ আমার আগের থেকে ঝরঝরা।
লেখকঃ
মোঃ মাঈদুল ইসলাম
ওয়েব ডেভেলাপার
ওএস ক্লিকস (OS CLiCKS)
ধানমণ্ডি, ঢাকা।