অ্যাডভোকেট আব্রাহাম লিংকনঃ
মঙ্গা মন্বন্তরের কথা উঠলেই দেশবাসীর সামনে যে নামটি প্রথম ভেসে ওঠে সেটি কুড়িগ্রাম। বাসন্তির জাল পরানো মিথ্যে ছবি ছাপিয়ে আমাদের কলঙ্কিত করা হয়েছে। দারিদ্র্যের কশাঘাতে জর্জরিত মানুষগুলোর এপার-ওপার ছুটে বেড়ানোর করুণ কাহিনি অসত্য নয়। ভূলোক দোলানো কাঁটাতারে ঝুলন্ত ফেলানীর রক্তাক্ত লাশ আমাদের সে কষ্টগাথাকে ইতিহাসে ঠাঁই দিয়েছে।
উত্তরের প্রান্তিক জেলা কুড়িগ্রাম। যার রাজারহাট উপজেলা বাদ দিয়ে সব উপজেলার সঙ্গে ভারতীয় সীমান্ত। প্রায় ৩০০ কিলোমিটার সীমান্তে রয়েছে ভারতের মেঘালয়, আসাম এবং পশ্চিমবঙ্গ। একটি জেলার মধ্যে ভারতের তিনটি প্রদেশ সেটি শুধু কুড়িগ্রামের সঙ্গেই রয়েছে, অন্যত্র নেই। ভৌগোলিক কারণে কুড়িগ্রাম বেশ গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে। কুড়িগ্রামের ওপর দিয়ে অসংখ্য নদ-নদী প্রবাহিত। যার অনেকগুলোই ভারত থেকে উৎসারিত। ভুবনখ্যাত ব্রহ্মপুত্র কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার নারায়ণপুর দিয়ে প্রবেশ করেছে কুড়িগ্রাম। এছাড়া তিস্তা, ধরলা, দুধকুমার, জিঞ্জিরাম, সোনাভরি, সংকোশ, নীলকমল, কালজানিসহ অনেক নদীই প্রবাহিত। পৃথিবীর সবচেয়ে জনবহুল ছিটমহল দাসিয়ারছড়া এখন কুড়িগ্রামের অংশ। একাত্তরে ৬ ও ১১নং সেক্টরের তুমুল যুদ্ধগুলো এই কুড়িগ্রামের বিভিন্ন অংশেই হয়েছে।
কুড়িগ্রামের মানুষজন এখনো দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে নিরন্তর লড়াই করছে। দারিদ্র্যের ভর নিয়ে কুড়িগ্রাম এখনো শীর্ষেই আছে। কুড়িগ্রামের দরিদ্রতার হার ৬৩%, যা দেশে সর্বোচ্চ। সরকার দেশকে মধ্য আয়ের স্তরে নিতে দৃঢ়তার সঙ্গে লড়ছে। কুড়িগ্রামের এই পরিসংখ্যান যদি অব্যাহত থাকে তাহলে মধ্যস্তরে যেতে দেশকে আরো অপেক্ষা করতে হবে। কুড়িগ্রামকে বাদ দিয়ে যেহেতু বাংলাদেশ নয়। সঙ্গতকারণে দারিদ্র্যমুক্তি কুড়িগ্রামকে নিয়েই করতে হবে। দারিদ্র্যবিমোচন কঠিন বিষয় নয়। স্থানীয় সম্পদ ও সম্ভাবনাকে কাজে লাগালে কুড়িগ্রামের দারিদ্র্যমুক্তি সহজ হবে। জেলার বিপুল ভূমি ও যোগাযোগ ব্যবস্থাকে ধরে এগোতে পারলে দারিদ্র্যবিমোচন দ্রুতই সম্ভব। কুড়িগ্রামের উন্নয়নের জন্য খাতওয়ারি কিছু প্রস্তাবনা তুলে ধরছি, যেগুলো করতে পারলে দ্রুতই বদলে যাবে দারিদ্র্যের মানচিত্র।
যোগাযোগ ও বাণিজ্যঃ
বর্তমান সময়ে ভূরুঙ্গামারীর সোনাহাট স্থলবন্দরটি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এখনো যাত্রী পারাপার শুরু না হলেও পণ্য আমদানি-রফতানিতে বেশ সাড়া ফেলেছে। আন্তর্জাতিক এই পথটি চালু হওয়ায় পাথর ও কয়লা আমদানি খুবই সাশ্রয়ী হয়েছে। এই বন্দরের সবচেয়ে বড় সুবিধা, বন্দরটি ভারতীয় মহাসড়কের সঙ্গেই, যা অন্য স্থলবন্দরগুলো থেকে পৃথক। এই রুটকে ধরে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য আরো সম্প্রসারিত হতে পারে। এই রুটে পণ্য পরিবহন ও যাত্রী যাতায়াত দ্রুত চালু করতে যা করা প্রয়োজনÑ এখানে সোনাহাট ব্রিজ নির্মাণ করা, ফোর লেন সড়ক তৈরি করা এবং রাস্তাটি তৃতীয় তিস্তা সেতু চিলমারী পয়েন্টে যুক্ত করা। বন্ধ হয়ে থাকা জয়মনিরহাট ইমিগ্রেশন চালু করা। সোনাহাট থেকে রেল ব্যবস্থা চালু করা। রৌমারী আন্তর্জাতিক স্থলবন্দরের সঙ্গে ফোর লেন সড়ক নির্মাণ করা এবং দেওয়ানগঞ্জ সীমানা থেকে রেললাইন সম্প্রসারণ করে রৌমারী বন্দরের সঙ্গে সংযুক্ত করা। ধরলা নদীর কারণে বহুদিন ধরে মোগলহাট স্থলবন্দরটি বন্ধ। বিশেষত ভারতীয় অংশে গীতালদহ রেলব্রিজটি অকার্যকর হওয়ায় বন্দরটি বন্ধ, সেটি চালু করা। বর্তমান সময়ে মোগলহাট ও গীতলদহের সামান্য দূরে ধরলা নদীর ওপর কুলাঘাটে একটি বৃহৎ ব্রিজের নির্মাণকাজ প্রায় শেষের দিকে। এই ব্রিজের সঙ্গে সংযোগ করে দিনহাটার সঙ্গে সাবেক রংপুর রোডটি চালু করা। এটি চালু করলে আন্তর্জাতিক যোগাযোগ শুধু বৃদ্ধিই পাবে না, বরং দূরত্ব কমে এসে সেটি অর্থ ও সময় সাশ্রয়ী হবে। এই রুটে কোচবিহার ১২৭ কিলোমিটার ও ভুটানের দূরত্ব অর্ধেকের বেশি কমে আসবে। এখানে রেলপথে খরচ কমবে ৬২% থেকে ৬৭%, সড়ক পথে ব্যয় কমবে ৫৫-৬০%। একইসঙ্গে যদি ব্রহ্মপুত্রের ওপর যাত্রাপর মোল্লারহাট অথবা ফকিরের হাট পয়েন্টে ব্রিজ হয় তা রাজধানীর সঙ্গে শুধু দূরত্বই কমাবে না, বরং এই সড়কপথ সোনাহাট, মোগলহাট এবং বুড়িমারী স্থলবন্দরকে যুক্ত করে মহাদেশীয় যোগাযোগকে নিশ্চিত করবে। একইসঙ্গে জেলা শহরের সঙ্গে রৌমারী-রাজিবপুরের সহজ যোগাযোগ নিশ্চিত হবে। নদী শাসনসহ ব্রহ্মপুত্রের দুই ধার ধরে স্থায়ী বাঁধ বনাম মহাসড়ক নির্মাণ করতে হবে।
নৌবন্দর ও নৌযোগাযোগঃ
জেলার ব্রহ্মপুত্র নদকে ঘিরে ব্রিটিশ আমলে চিলমারী, নুনখাওয়া, যাত্রাপুরে নৌবন্দর ছিল। পাকিস্তান আমলেও এর ব্যাপক ব্যবহার ছিল। বর্তমানে এই নৌবন্দরগুলো অচল প্রায়। আগে কলকাতা থেকে মাল বোঝাই জাহাজ নিয়মিত আসামে যেত। চিলমারী ও যাত্রাপুরে কাস্টম ডিউটি দিতে হতো। এখন নদীর নাব্যতা না থাকায় জাহাজ চলাচল নেই। নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে পারলে আসামের সঙ্গে পণ্য আমদানি-রফতানি সহজ ও সাশ্রয়ী হবে। সোনাহাট বন্দরকে ধরে ভূরুঙ্গামারীতে দুধকুমার নদীতে সোনাহাট ব্রিজের কাছে বন্দর গড়ে তুলতে পারলে খুবই কম খরচে আমদানি-রফতানি সম্ভব হবে। এতে বিপুল পরিমাণ জনগোষ্ঠী কর্মেরও সুযোগ পাবেন। রৌমারী রাজিবপুরের জন্য অতি দ্রুত ফেরি ও স্পিড বোট সার্ভিস চালু করা।
ট্রেন সার্ভিসঃ
ব্রহ্মপুত্রের পূর্ব পাড়ের রৌমারী, রাজিবপুর, চিলমারী ও উলিপুরের অংশের যাত্রী বাদ দিয়েই কুড়িগ্রামের অবশিষ্ট এলাকার মানুষ প্রতিরাতে প্রায় একশ’ পঞ্চশটি কোচে ঢাকায় যায়। প্রায় দশ হাজার মানুষ কাজের উদ্দেশ্যে প্রতিদিন কুড়িগ্রাম ছাড়ে। এরাই কুড়িগ্রামের রেমিট্যান্সদাতা। এদের বড় অংশই টাকার অভাবে বাসের ছাদে কিংবা বাসের ভিতর দাঁড়িয়ে ৫০-১০০ টাকায় ঢাকা যায়। এই বিপুল সংখ্যক যাত্রীর জন্য চিলমারী থেকে আন্তঃনগর ট্রেন সার্ভিস চালু হলে গরিব মানুষের প্রকৃতই উপকার সাধন হবে। একই সঙ্গে রংপুরের সঙ্গে প্রতি ঘণ্টায় ডেমু ট্রেন সার্ভিস চালু করাও প্রয়োজন।
শিল্পায়নঃ
প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত কুড়িগ্রাম শিল্পাঞ্চল দ্রুত গড়ে তোলা। শুধু তাই নয়, কুড়িগ্রামের স্থলবন্দরগুলো দিয়ে ভারত থেকে যেসব পণ্য শিল্পের জন্য আমদানি করা হয় তা দিয়ে এখানে শিল্প গড়ে তোলা যায়। যারা কুড়িগ্রামে শিল্প গড়ে তুলবেন তাদের কর ও ঋণ সুবিধার ব্যবস্থা করা। কারণ সামর্থ্যবানরা দূরত্ব ও পশ্চাৎপদ এলাকার কারণে ঝুঁকি নিয়ে শিল্প করতে আগ্রহী নয়। এসব সুবিধা শিল্পোদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসতে আগ্রহী করবে। বকসীগঞ্জ থেকে ত্রিশ কিলোমিটার উত্তরে এগোলেই রৌমারী, সেখান থেকে গ্যাস এনে রৌমারীতে শিল্প গড়ে তোলা যায়। সেখানেও পৃথক অর্থনৈতিক জোন হতে পারে। এতে রৌমারী ও কামালপুর স্থলবন্দর সহায়তা পেতে পারে। ব্রহ্মপুত্রে চিলমারী এলাকায় যে মূল্যবান বালু পাওয়া গিয়েছে তা উত্তোলন করা যায়।
কৃষিনির্ভর শিল্পঃ
জেলার উৎপাদিত পণ্যভিত্তিক শিল্প গড়ে তোলা। মৌসুমি তথা রবিশস্য সংরক্ষণের সবজি হিমাগার, আলু ও ভুট্টাভিত্তিক শিল্প স্থাপন করা।
শিক্ষাক্ষেত্রঃ
মাদ্রাসার সংখ্যাগত দিক ছাড়া শিক্ষার সব ক্ষেত্রে কুড়িগ্রাম পিছিয়ে আছে। জেলার চরাঞ্চলের শিক্ষা পরিস্থিতি আরো করুণ। সেখানে প্রতিষ্ঠানগুলো মূলতই প্রাথমিক ও কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক। মাধ্যমিক শিক্ষার সুযোগ নেই বললেই চলে। চরাঞ্চলের স্কুলগুলোর শিক্ষকরা মূলত শহরের বাসিন্দা। তারা স্কুলে উপস্থিতি ও পাঠদানে নিয়মিত নন। তারা শিক্ষা অফিসগুলোর সঙ্গে যোগসাজশে নিয়মিত অনিয়ম করেই চলেন। যেসব শিক্ষক নিয়মিত যান না তারা গ্রামের কোনো অর্ধ শিক্ষিত যুবককে মাসে ৫০০-১০০০ টাকায় চুক্তি দিয়ে পড়িয়ে নেন। স্কুলের বেতনের আগে কোনো একদিন স্কুলে গিয়ে হাজিরায় সব দিনের স্বাক্ষর করেন। বলার কেউ নেই, কেউ বললেও কাজে দেয় না, কারণ ওই স্কুলশিক্ষকদের কেউ কেউ ক্ষমতাসীন দলসহ বড় দলগুলোর জেলা পর্যায়ের নেতাও বটে। যিনি তাদের ধরবেন তিনি উল্টো সাজা পেয়ে বদলি হয়ে যাবেন। এই পরিস্থিতির বদল না হলে কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলে যে সুযোগ সরকার দিয়েছে তার সবই ব্যর্থ হবে। এই যে চলমান বন্যা, এখন এক-দুই মাস স্কুল হবে না। এটি পুষিয়ে নিতে চরাঞ্চলের স্কুল ক্যালেন্ডার পৃথক করতে হবে। যারা চরে চাকরি করবেন তাদের হিল অ্যালাউন্সের মতন চর অ্যালাউন্স চালু করতে হবে। যারা প্রকৃত অর্থেই চরে থাকবেন তারাই শুধু এটি পাবেন। এর বাইরে চরাঞ্চলে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। চরাঞ্চলের শিক্ষার্থীদের জন্য স্কুল বোট চালু করতে হবে। মিড ডে মিল তথা স্কুল ফিডিং চালু করা যেতে পারে।
কুড়িগ্রাম জেলা শহরে অবস্থিত জেলার সবচেয়ে শিক্ষার্থীবহুল মজিদা কলেজসহ প্রত্যেকটি উপজেলার সেরা কলেজগুলোকে সরকারিকরণ করা প্রয়োজন। মাদ্রাসাগুলোতে ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞান শিক্ষার ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত বিশ^বিদ্যালয়ের কাজ দ্রুত শুরু করা। জেলা সদরে ধরলার তীরে একটি শিশুপার্ক এবং প্রত্যেকটি উপজেলায় শিশুদের জন্য বিনোদনের ব্যবস্থা করা। রৌমারী রাজিবপুরের মানুষের ছোট ছোট মামলা পরিচালনার জন্য রৌমারীতে একটি আইনি চৌকি বা আদালতব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা উচিত। এতে মানুষের হয়রানি কমবে।
ছিটমহলঃ
জেলার অধীনে ভারতীয় ১২টি ছিলমহল যুক্ত হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় ও জনবহুল ছিটমহল দাসিয়ারছড়া। এই ছিটমহলগুলোর উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ নজর আছে। তবে এখনো সরকারি উদ্যোগে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠেনি। সেখানে শিক্ষা ও চাকরিতে সুযোগ দেওয়ার জন্য রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ দরকার।
জেলার জন্য পৃথক উন্নয়ন বরাদ্দঃ
দেশের অন্য জেলাগুলোর চেয়ে বিভিন্ন খাতে কুড়িগ্রাম অনেক পিছিয়ে আছে। এই পশ্চাৎপদতা দূর করতে ব্যাপক বরাদ্দ ও ভর্তুকি দরকার। অন্য জেলার সঙ্গে সম-বরাদ্দে সেটি সম্ভব নয়। এগিয়ে নিতে ব্যাপক বরাদ্দের বিকল্প নেই।
কুড়িগ্রাম জেলার মানুষ দেশের অন্য জেলার মানুষের চেয়ে অনেক পিছিয়ে আছে, তাদের জীবনে দারিদ্র্য থাকলেও তারা ভিক্ষুক নয়। দেশে বিশেষত ঢাকাসহ বড় বড় শহরে যারা ভিক্ষা করে তাদের মধ্যে কুড়িগ্রামের নাগরিক নেই বললেই চলে। চিত্রটি কাল্পনিক নয়, ভিক্ষুকদের জিজ্ঞেস করলে আরো পরিষ্কার হওয়া যাবে। শিল্পাঞ্চল, গার্মেন্টস শিল্প, শহরগুলোর বাসা-বাড়ির কাজের লোকদের ঠিকুজির খোঁজ করলে একটি বড় অংশই পাওয়া যাবে তারা কুড়িগ্রামের। এই চিত্রটি আমাদের সক্ষমতার চিত্র, অক্ষমতার নয়। রাষ্ট্র যদি কুড়িগ্রামের নাগরিকদের এই সক্ষমতাকে বিবেচনা করে এখানে দ্রুত শিল্পায়ন করে তবে সেটি একা কুড়িগ্রামের উপকার করবে না, বরং বাংলাদেশ ২০২১ সালের মধ্যে মধ্য আয় এবং ২০৪১-এর মধ্যে উন্নত রাষ্ট্রের স্তরে যেতে বাস্তবমুখী পরিকল্পনার জন্যও সহায়ক হবে। নতুবা দেশ যতই উন্নত হোক কুড়িগ্রাম কিন্তু দেশের কলঙ্ক তিলক হিসেবে চিহ্নিত হবে।
লেখকঃ আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট। সাবেক রাকসু নেতা। সভাপতি, কুড়িগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতি।
ইমেইলঃ abrahamlincoln66@gmail.com