শিক্ষার ভিতকে শক্তিশালী ও শিক্ষিত জাতি গঠনের এক সুদূরপ্রসারী লক্ষ্য নিয়ে সীমিত সম্পদের মধ্যেও সরকার প্রাথমিক শিক্ষাকে জাতীয়করণ করেছে। আগের সরকারি বিদ্যালয়গুলির একটা উল্লেখযোগ্য অংশ অবকাঠামো, আসবাব, শিক্ষাপোকরণ এবং শিক্ষক সংকটে বিপর্যস্ত। বেসরকারি রেজিষ্টার্ড থেকে পর্যায়ক্রমে সরকারি হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলির অবস্থা আরো করুণ। এইসব প্রতিষ্ঠানে বড় চ্যালেঞ্জ সরকারি নিয়ম-কানুনের আলোকে শিক্ষকদের মনস্তাত্ত্বিক, প্রাতিষ্ঠানিক ও পরিবেশগত পরিবর্তন। উলিপুর উপজেলায় দেড় শতাধিক বিদ্যালয় সরকারিকরণের আওতাভুক্ত হয়েছে। অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত ক্লাস এবং সহপাঠ্যক্রমিক কার্যাবলি যথাযথভাবে অনুষ্ঠিত হওয়ার ব্যাপারে হতাশাব্যজ্ঞক তথ্য রয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষাকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত সম্প্রসারণের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। কিন্তু বিদ্যমান পরিস্থিতির উন্নয়ন না ঘটলে অবস্থার আরো অবনতি হওয়ার আশংকা রয়েছে। তাই বাপ-মাহীন সদ্য জাতীয়করণকৃত এইসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার পরিবেশ উন্নয়ন এবং নিয়মিত ক্লাশ নিশ্চিত করার জন্য উলিপুর উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা শিক্ষা অফিস, এসএমসি, পিটিএ, জনপ্রতিনিধিসহ সকল মহলকে বিদ্যালয়গুলিতে তদারকি জোরদার এবং শিক্ষকদের স্হানীয়ভাবে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানাচ্ছি। একই সংগে সম্মানিত শিক্ষকমন্ডলিকে জাতির প্রত্যাশা পূরণে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।
লেখক: এম এ মতিন
পরিচালক (অব:), মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, ঢাকা