।। উপজেলা প্রতিনিধি ।।
কুড়িগ্রামের চিলমারী ও গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সীমান্তে দুই এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। মেয়েদের উত্যক্ত করা ও ছবি তোলার অভিযোগকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার সকালে সংঘর্ষ বাঁধে। এতে উভয় পক্ষের ২০-২৫ জন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে একজনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন হস্তক্ষেপ করে।
গত শুক্রবার চিলমারী রমনা ইউনিয়নের দক্ষিণ খরখরিয়া গ্রামের এক পরিবারের মা ও মেয়ে তিস্তা সেতুতে বেড়াতে গেলে, সুন্দরগঞ্জের শহরের মোড় এলাকার কয়েক যুবক তাদের গোপনে ছবি তোলেন ও উত্যক্ত করার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ ওঠে। এতে স্থানীয় দুই যুবক সাজু ও মোতালেব মিয়া প্রতিবাদ করলে, সুন্দরগঞ্জের যুবকরা তাদের মারধর করে। এ ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দুই পক্ষ।
বৃহস্পতিবার সকালে দক্ষিণ খরখরিয়া গ্রামের আলমগীর হোসেন (৩৫)কে শহরের মোড় এলাকার কয়েকজন মারধর করলে উত্তেজনা আরও বাড়ে। উভয় পক্ষ মাইকিং করে লোকজন জড়ো করে এবং দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে প্রায় ২০০ লোক এতে অংশ নেয়। পরে সেনাবাহিনীর একটি টিম ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ঘটনাস্থলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সবুজ কুমার বসাক, চিলমারী থানা পুলিশ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতারা উপস্থিত হয়ে আলোচনার মাধ্যমে শান্তি প্রচেষ্টা চালান। রমনা ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম আশেক আকা জানান, পূর্ববর্তী দ্বন্দ্বের জেরে এ সংঘর্ষ ঘটে এবং সেনাবাহিনীর দ্রুত হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সবুজ কুমার বসাক বলেন, “সব পক্ষকে শান্ত থাকতে বলা হয়েছে। কেউ আইন ভাঙলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্থিতিশীল।”
//নিউজ/চিলমারী//সোহেল/এপ্রিল/১০/২৫