।। নিউজ ডেস্ক ।।
কুড়িগ্রামে প্রিপেইড মিটার চালুর তিন মাস না পেরোতেই ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়েছেন নর্দান ইলেক্ট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (নেসকো)-এর গ্রাহকরা। গ্রাহক সুবিধা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে প্রিপেইড মিটার স্থাপন করা হলেও এখন তা হয়ে উঠেছে এক বিভীষিকা।
প্রিপেইড মিটারে টাকা রিচার্জ করেও অনেক গ্রাহক বিদ্যুৎ পাচ্ছেন না। সার্ভার সমস্যার কারণে টাকা কেটে নেওয়ার পরও তা মিটারে যোগ হচ্ছে না। ফলে ঘন্টার পর ঘন্টা বিদ্যুৎহীন থাকতে হচ্ছে অনেক পরিবারকে।
রবিবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে কুড়িগ্রাম নেসকো অফিসে গিয়ে দেখা গেছে, প্রিপেইড মিটারজনিত সমস্যার সমাধানের জন্য শত শত গ্রাহকের ভিড়। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত অর্ধ সহস্রাধিক গ্রাহক অফিসে হাজির হয়ে একই সমস্যার অভিযোগ করেন।
নেসকো কুড়িগ্রাম অফিস সূত্রে জানা গেছে, সদরের প্রায় ৩০ হাজার গ্রাহককে প্রিপেইড মিটারের আওতায় আনা হয়েছে। এর মধ্যে ২৭ হাজার গ্রাহক পুরোপুরি অনলাইন সিস্টেমে থাকলেও বাকি ৩ হাজার গ্রাহক এখনও অনলাইন-অফলাইন সংমিশ্রিত সিস্টেমে রয়েছেন। তাদের পুরোপুরি অনলাইন সিস্টেমে নেওয়ার প্রক্রিয়া চলমান।
যতিনের হাট এলাকার গ্রাহক মাইদুল ইসলাম বলেন, “ঈদের আগে ১ হাজার টাকা রিচার্জ করেছিলাম। সব ঠিকঠাক চললেও আজ সকাল থেকে হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে যায়। মিটারে গিয়ে দেখি ব্যালেন্স শূন্য। পরে অফিসে এসে দেখি অনেকেই একই সমস্যায় ভুগছেন।”
খলিল এলাকার ইজিবাইক চালক নবাব আলী জানান, “আমার বাড়িতে বিদ্যুৎ নেই, চারপাশে সবার আছে। রিচার্জ করার পরও মিটারে টাকা যোগ হয়নি। আজ ইজিবাইক চার্জ দিতে না পারায় রোজগারও হলো না। আবার অফিসে আসতে হলো, রিকশা ভাড়া দিয়ে আসা-যাওয়ার এই ভোগান্তি আর সহ্য হচ্ছে না।”
জলিল বিড়ির মোড়, মন্ডলপাড়া, বকশীপাড়া ও নাজিরা এলাকার আরও অনেক গ্রাহক একই ধরনের অভিযোগ করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
এ বিষয়ে কুড়িগ্রামের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেসকো নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আতিফুর রহমান জানান, “বর্তমানে ৩ হাজার গ্রাহক অনলাইন-অফলাইন সংমিশ্রিত সিস্টেমে রয়েছেন। সরকারী ছুটির কারণে তাদের মাঝে এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। আজকেই প্রায় ১ হাজার গ্রাহকের সমস্যা সমাধান করা হয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যেই সকলের সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবে।”