।। উপজেলা প্রতিনিধি ।।
চিলমারী উপজেলায় খাদ্য বিভাগের চাল ক্রয় কার্যক্রমে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। আমন মৌসুমে ৫৪৬ টন চাল ক্রয়ের জন্য ৪৩টি চালকলের সঙ্গে চুক্তি করা হলেও ধান সংগ্রহে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে কর্তৃপক্ষ। এছাড়া চাল ক্রয়ে নিম্নমানের চাল গ্রহণ, উৎকোচ আদায়সহ নানা অনিয়মের কথা জানা গেছে।
খাদ্য বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী, ৩৩ টাকা দরে ৫৩৫ টন ধান সংগ্রহ করার কথা থাকলেও একটি কেজি ধানও সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি। ভারপ্রাপ্ত খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা মোঃ আমজাদ হোসেন জানান, বাজারে ধানের দাম বেশি থাকায় কৃষকরা ধান বিক্রি করতে আগ্রহী হননি। তবে অভিযোগ রয়েছে যে, ধান সংগ্রহে ব্যর্থতার পাশাপাশি চাল ক্রয়ে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে।
চাল ক্রয় কার্যক্রমে সুটার (পলিশ) ও নন-সুটার চাল নিয়ে জটিলতা তৈরি করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। মিল মালিকদের কাছ থেকে কেজি প্রতি ১ টাকা হারে উৎকোচ নেওয়ার পাশাপাশি জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের জন্য আলাদা অর্থ আদায়ের কথাও জানা গেছে। এছাড়া, বন্ধ চালকলের নামে বরাদ্দ প্রদান এবং নিম্নমানের চাল গ্রহণের অভিযোগও রয়েছে।
মিল মালিকরা জানান, চাল ক্রয়ে অনিয়মের কারণে তাদেরকে লোকসান গুনতে হয়েছে। এদিকে, উপজেলা ভারপ্রাপ্ত গুদাম কর্মকর্তা মোঃ আমজাদ হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, কোনো অনিয়ম হয়নি এবং মিল মালিকরা মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছেন।
কুড়িগ্রাম জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সাইফুল কাবির খান অভিযোগ তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি জানান, উপজেলা পর্যায়ে চাল ক্রয়ে অনিয়মের বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে, চিলমারী উপজেলার বেশকিছু চালকল দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকলেও নিয়মিত বরাদ্দ পাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় মিল মালিকরা অনিয়মের কথা স্বীকার করলেও লাইসেন্স বাতিলের ভয়ে প্রকাশ্যে কথা বলতে ভয় পাচ্ছেন।
//নিউজ/চিলমারী//সোহেল/মার্চ/১৯/২৫