“বাহে, তোমরা যদি মোক পঞ্চাশ ট্যাহা দেন তাহলে মুই মাঝবিল যাইম। না হলে এট্টে বসি থাকিম অন্য আস্তার ভারা পাইলে যাইম। উলিপুত থাকি মাঝবিল গেতে পৌরসভার আস্তার যা অবস্থা! খাল-খোদ্দর! জানের নিরাপত্তা নাই। ইক্সা খানো ভাঙ্গি-ট্যাঙ্গি যায়।” কথাগুলো বলেন উলিপুর এমএস স্কুল গেটে থাকা মজিবর আলী নামে এক রিক্সা চালক। ১০/২০ টাকার ভাড়া ৫০ টাকা চেয়ে বসে রাস্তার দোহাই দিয়ে হর হামেশা। শুধু মজিবর নয় হোসেন আলী, খয়বর, আজিজুল সহ সব রিক্সা চালকের এক কথা। আর অটোয় যেতে হলে অপেক্ষা করতে হবে আট জন যাত্রী না হওয়া পর্যন্ত। আর সেই অটোয় যেতে মনে হবে গরুর গাড়ি কিংবা নৌকায় যাচ্ছি।
উলিপুর মাঝবিল রাস্তাটির পৌরসভার প্রাই আড়াই কি.মি. রাস্তাটি দীর্ঘ ২০ বছরেও সংস্কার হয়নি। রাস্তাটি ১৯৯৭ খ্রিষ্টাব্দে প্রথমার্ধে ৫০০ মিটার পাকা করা হয় পরে ২০০৭-০৮ খ্রিষ্টাব্দে বাকি রাস্তা পাকা করা হলেও এরপর আর করা হয়নি সংস্কার।
খালখন্দে ভরে গেছে রাস্তাটি। এখন চলতে গেলেই হোঁচট খেতে হয়। উল্টে যায় রিক্সা, ভ্যান, অটো, সাইকেল, মটর সাইকেল সহ বিভিন্ন মালবাহী যানবাহন। প্রায় প্রতিদিনই ঘটছে কোন না কোন দূর্ঘটনা। সামান্য বৃষ্টি হলে জমে ভাঙ্গা রাস্তায় পানি। যা পথচারী ও দুধারের দোকানে ছিটিয়ে পড়ে নোংরা করে দেয়। পাঁচ মিনিটের রাস্তায় যেতে সময় লাগে ১৫ মিনিট।
পথচারী হারুন-অর-রশিদ উলিপুর ডট কমকে বলেন, বর্তমানে রাস্তাটি নির্মাণ করা সময়ের দাবি। এব্যাপারে তিনি পৌর মেয়র ও এলজিইডির সুদৃষ্টি কামনা করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পৌর বাসিন্দা বলেন, আমরা কর দিয়ে পৌসভায় বাস করলে কি হবে আমাদের পৌরসভার রাস্তায় চলেও শান্তি পাই না।
ধরণীবাড়ী, জানজায়গীর, তেঁতুলতলা, মন্ডলের হাট, মধুপুর, মুন্সিবাড়ি, মালতীবাড়ী সহ এই রাস্তাটিতে চলাচলকারী শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষক, ব্যবসায়ী, চাকুরীজীবী, রিক্সা-ভ্যান-অটো চালক ছাড়াও পথচারীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
আজ এলাকাবাসী সহ সবার প্রাণের দাবী যে কোন মাধ্যমে রাস্তাটি দ্রুত সংস্কার করা হউক।