।। নিউজ ডেস্ক ।।
চেহারার সাথে ছবি মিলিয়ে পরিচয় যাচাই নয়, ফিঙ্গারপ্রিন্টের মাধ্যমে পরিচয় যাচাই নিশ্চিত করার দাবিতে কুড়িগ্রামে সমাবেশ ও স্মারকলিপি প্রদান করেছে পর্দানশীন নারী সমাজ।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় কুড়িগ্রাম জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর এ স্মারকলিপি প্রদান করেন সংগঠনটির নেত্রীরা। এর আগে কুড়িগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে তারা একটি সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।
মানববন্ধনে প্রায় ৪০০ পর্দানশীন নারী অংশগ্রহণ করেন। সেখানে ১৬ বছর ধরে নাগরিকত্ব থেকে বঞ্চিত থাকার বিষয়টি তুলে ধরে তারা দাবি জানান, পরিচয় যাচাইয়ে চেহারা ও ছবির মিলের পরিবর্তে আধুনিক ফিঙ্গারপ্রিন্ট যাচাই পদ্ধতি বাধ্যতামূলক করতে হবে। এছাড়া এনআইডি এবং শিক্ষার অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান তারা।
মানববন্ধন শেষে একটি র্যালি বের হয়ে জেলা শিক্ষা অফিসার ও জেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে তিন দফা দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান করে।
এ সময় পর্দানশীন নারী সংগঠনের সংগঠক আহমদ উম্মুল হায়া লিখিত বক্তব্যে তিন দফা দাবী তুলে ধরেন। দাবিগুলো হলো ১. বিগত ১৬ বছর ধরে যেসব নির্বাচন কমিশন কর্মকর্তা পর্দানশীন নারীদের নাগরিকত্ব আটকে রেখেছেন, তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। ২. পর্দানশীন নারীদের ধর্মীয় অধিকার ও ব্যক্তিগত গোপনীয়তা বজায় রেখে অবিলম্বে এনআইডি ও শিক্ষার অধিকার প্রদান করতে হবে। ৩. পরিচয় যাচাইয়ে ছবি মিলানোর পদ্ধতি বাতিল করে শুধুমাত্র ফিঙ্গারপ্রিন্ট পদ্ধতি চালু করতে হবে। ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেওয়ার সময় পুরুষের পরিবর্তে নারী সহকারী বাধ্যতামূলক রাখতে হবে।
সংগঠনের সংগঠক আহমদ উম্মুল হায়া লিখিত বক্তব্যে বলেন, “বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে নাগরিকত্ব যাচাইয়ের জন্য শুধুমাত্র ফিঙ্গারপ্রিন্ট পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। অথচ বাংলাদেশে আমাদের ধর্মীয় অধিকারকে উপেক্ষা করে নাগরিকত্ব থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। এনআইডি না থাকায় আমরা সরকারি বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছি।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের দাবি না মানা হলে দেশব্যাপী বৃহত্তর আন্দোলন কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।”