।। নিউজ ডেস্ক ।।
কুড়িগ্রামের হতদরিদ্র বাস শ্রমিক আবুল হোসেনের জীবনে এক সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে এসেছে সীমাহীন অন্ধকার। সে কুড়িগ্রাম জেলা শহরের হিঙ্গনরায় এলাকার মৃত আবুল কাদেরের পুত্র। ৫ বছর আগে সেপ্টেম্বর মাসের একটি সড়ক দুর্ঘটনা কাল হয় আবুলের। বদলে যায় জীবনের গতিপথ। স্ত্রী ও তিন মেয়েকে নিয়ে একসময়ের সুখের সংসারটি আজ অর্থকষ্টে ভেঙে পড়েছে।
ঢাকা থেকে কুড়িগ্রামগামী ‘মা-মনিকা’ নৈশ কোচের হেলপার হিসেবে কাজ করতেন আবুল। সেই বাসটি শেরপুরের ফুডভিলেজের কাছে একটি ট্রাকের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। দুর্ঘটনায় প্রাণ হারায় ছয়জন এবং আহত হয় অনেকে। সামনের সিটে থাকায় আবুল গুরুতর আহত হন। তার চোখসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত লাগে।
প্রাথমিক চিকিৎসার অবহেলার কারণে তার চোখে জটিলতা বাড়তে থাকে। এক পর্যায়ে কুড়িগ্রামের ডাক্তার রিপন সরকারের কাছে চিকিৎসা নিলেও সমস্যার গভীরতা সঠিকভাবে নির্ণয় করা যায়নি। চোখের দৃষ্টিশক্তি ক্রমেই কমে আসতে থাকে। ২০২১ সালের শেষ দিকে ঢাকার ইসলামিয়া হাসপাতালে বাম চোখে কর্নিয়া প্রতিস্থাপন করান, তবে সেই কর্নিয়াও সমস্যাযুক্ত হয়ে পড়ে। এরপর ডান চোখেও একই ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। বর্তমানে তার দুটি চোখই পুরোপুরি অন্ধ।
ডাক্তাররা উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। দৃষ্টিশক্তি ফেরাতে এবং কর্নিয়া প্রতিস্থাপন করতে প্রয়োজন প্রায় ১০ লাখ টাকা। কিন্তু আবুল হোসেনের পক্ষে এত বড় অঙ্কের অর্থ জোগাড় করা সম্ভব নয়।
চিকিৎসার খরচ যোগাতে দোকান, জায়গা-জমি সব বিক্রি করে নিঃস্ব হয়েছেন আবুল। বর্তমানে কুড়িগ্রাম শহরের নিমবাগান এলাকায় অন্যের বাড়িতে আশ্রিত হয়ে স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তার স্ত্রী লতিফা অন্যের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করে কোনোমতে সংসার চালাচ্ছেন। প্রতি মাসে চিকিৎসার জন্য প্রায় ২ হাজার টাকা প্রয়োজন, যা এখন বন্ধ হওয়ার পথে।
আবুল হোসেনের পরিবার এখন সম্পূর্ণভাবে দানশীল ও হৃদয়বান মানুষের সহায়তার উপর নির্ভরশীল। সরকারি দপ্তর থেকে কোনো সাহায্য না পেয়ে তারা সাধারণ মানুষের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন।
আবুল হোসেনকে সহায়তা পাঠাতে বিকাশ নম্বর: ০১৭৭৩১৭৪৯১৭, যোগাযোগের জন্য ফোন নম্বর: ০১৭৯৬২৬৮১৩৪।