।। উপজেলা প্রতিনিধি ।।
চিলমারী উপজেলার রমনা মডেল ইউনিয়নের জোড়গাছ বাজারে সরকারি প্রণোদনার বীজ ও সার দোকানে বিক্রির সময় স্থানীয় জনগণের হাতে আটক হয়েছেন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার দুপুরে মেসার্স ইকবাল ট্রেডার্স নামের একটি কীটনাশকের দোকানে। অভিযুক্ত কর্মকর্তার নাম আতোয়ার রহমান, যিনি রমনা ইউনিয়নের ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্বে ছিলেন।
জানা গেছে, রবিবার সকালে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে প্রণোদনার বীজ ও সার বিতরণ করা হয়। একই দিন দুপুরে আতোয়ার রহমান ওই প্রণোদনার বীজ ও সার জোড়গাছ বাজারের একটি কীটনাশকের দোকানে বিক্রির উদ্দেশ্যে নিয়ে যান। বিষয়টি স্থানীয় জনগণের নজরে আসার পর তারা সরাসরি সার ও বীজসহ তাকে আটক করে।
স্থানীয়রা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানালে তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, সরকারি প্রণোদনার বীজ ও সার দোকানে বিক্রির বিষয়টি দুঃখজনক এবং কৃষকদের সঙ্গে প্রতারণা। উপস্থিত মাহমুদুল হাসান বাবু, লুৎফুর রহমান লিপ্টন, আবু সাইদ হোসেন পাখি, ও আবু হানিফা সাদ্দাম জানান, দুপুর দেড়টার দিকে অটোতে করে সার ও বীজ এনে দোকানে রাখা হয়। তারা আরও জানান, সরকারি প্রণোদনার সার ও বীজ কীভাবে দোকানে বিক্রি হতে পারে, তা খতিয়ে দেখে অভিযুক্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।
কীটনাশক দোকানের মালিক মো. ফারুক ইসলাম বলেন, “উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আতোয়ার রহমান অটোতে করে সার ও বীজ আমার দোকানে নিয়ে আসেন। বিক্রির উদ্দেশ্যে এনেছেন কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ থাকলেও দোকানে এনে রাখার অর্থই হলো বিক্রি।”
অভিযুক্ত কর্মকর্তা আতোয়ার রহমানের দাবি, “পুষ্টিবাগানের জন্য আনা বীজ ও সার কৃষকরা নিয়ে এসে এখানে রেখেছে, যা আগামীকাল নিয়ে যাবে।” তবে বিক্রির প্রসঙ্গে তিনি কোনো স্পষ্ট বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কুমার প্রণয় বিষণ দাস জানান, “বিষয়টি জানার পর আমি ঘটনাস্থলে এসেছি। সার ও বীজ কেন এবং কীভাবে দোকানে এলো, তা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
//নিউজ/চিলমারী//সোহেল/ডিসেম্বর/১৩/২৪