।। নিউজ ডেস্ক ।।
কুড়িগ্রাম ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে জনবল সংকটের অজুহাতে অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা শনিবার দিনব্যাপী অনশন কর্মসূচি পালন করেছেন। হাসপাতাল চত্বরে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত চলা এ অনশনে কুড়িগ্রামের সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
অনশন কর্মসূচিতে অংশ নেন শিক্ষার্থী আবরার শাহরিয়ার, আরমান হোসেন, লোকমান হোসেন লিমন, মাহমুদুল হাসান ও নাজমুল হাসান। তাদের হাতে ছিল বিভিন্ন প্রতিবাদী স্লোগান লেখা প্লেকার্ড।
অনশনকারী আবরার শাহরিয়ার তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, “আমি কোনো রাজনৈতিক সংগঠনের সাথে জড়িত নই। একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে হাসপাতালের অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রতিবাদ করেছি। কিন্তু এর জেরে একজন ডাক্তার আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন। আমি কারো পদত্যাগ চাই না, বরং রাষ্ট্রযন্ত্রকে প্রশ্ন করতে চাই—‘হে রাষ্ট্র, তুমি কার?’ চিকিৎসা মৌলিক অধিকার, অথচ আমার জেলায় সেই সেবা পাচ্ছি না। ডাক্তার নেই, ওষুধ নেই, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশ নেই। এর সমাধান কবে হবে? দুই দিনের মধ্যে কোনো পরিবর্তন না হলে, আমি ভুলে যাবো যে আমি এই দেশের নাগরিক।” তিনি আরও বলেন, সিস্টেমের সংস্কার না হলে তার কাছ থেকে আর কোনো দাবি আসবে না। বাকি সিদ্ধান্ত রাষ্ট্রের হাতে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক রাজ্য জ্যোতি বলেন, “চিকিৎসা সেবা পাওয়া নাগরিক অধিকার। কিন্তু কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে সিন্ডিকেটের কারণে দুর্নীতি ও অনিয়ম চলছে। এসবের প্রতিবাদ করলে সাধারণ মানুষকে হেনস্তার শিকার হতে হয়। আমরা শিক্ষার্থী আবরার শাহরিয়ারের অনশনের সঙ্গে সংহতি জানাচ্ছি।”
বিকেল ৪টার দিকে কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান, তত্ত্বাবধায়ক ডা. শহিদুল্লাহ লিংকন এবং আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শাহিনুর রহমান সরদার আন্দোলনকারীদের সাথে কথা বলেন। তারা দুই দিনের মধ্যে সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দিয়ে শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙান।