।। নিউজ ডেস্ক ।।
উত্তরের হিমেল বাতাস আর ঘন কুয়াশায় তীব্র ঠান্ডায় কাহিল হয়ে পড়েছে কুড়িগ্রামের মানুষ। গত ২৪ ঘণ্টায় তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেলেও শীতের তীব্রতা একটুও কমেনি। গত দুই দিন ধরে সূর্যের দেখা মিলছে না, ফলে শীতকষ্ট বেড়েছে।
বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের তথ্যমতে, জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগের দিন তাপমাত্রা ছিল ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এ কনকনে ঠান্ডায় হতদরিদ্র, ছিন্নমূল এবং স্বল্প আয়ের শ্রমজীবী মানুষ সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়েছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। দিনের বেলা সূর্যের অনুপস্থিতিতে হিমেল বাতাস আর ঠান্ডায় গোটা জেলা যেন জমে যাচ্ছে।
শীত নিবারণের জন্য জেলা প্রশাসন জেলার ৯ উপজেলায় ৪৯ লাখ টাকা ও ১২ হাজার কম্বল বরাদ্দ দিয়েছে, যা ইতিমধ্যে বিতরণ কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের ঘোড়ার গাড়ি চালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, “দুই দিন ধরি সূর্যের দেখা নাই। খুব ঠান্ডা, গাড়ি চালানো যায় না। বৃষ্টির মতো কুয়াশা পড়ছে, হামরা খুব কষ্টে আছি।”
রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, গত দেড় মাস ধরে এই অঞ্চলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে। চলতি মাসে ২-৩টি শৈত্যপ্রবাহ এই জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।