।। নিউজ ডেস্ক ।।
শীতের শুরুতেই কুড়িগ্রামে শুরু হয়েছে শৈত্য প্রবাহ। সকাল থেকে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন, রোদের কোনো দেখা নেই। তাপমাত্রা নামতে থাকায় জেলার জনজীবনে নেমে এসেছে চরম বিপর্যয়। বিশেষত দরিদ্র ও দিনমজুর শ্রেণির মানুষেরা প্রচণ্ড শীতের সঙ্গে লড়াই করছে।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী কয়েক দিন এই শৈত্য প্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে।
জেলার বিভিন্ন এলাকায় বেড়েছে শীতবস্ত্রের চাহিদা। দরিদ্র পরিবারগুলোতে পর্যাপ্ত শীতবস্ত্রের অভাবে শিশু ও বৃদ্ধরা বিশেষভাবে কষ্ট পাচ্ছে। শীতজনিত রোগ যেমন সর্দি, কাশি, জ্বর, নিউমোনিয়ার প্রকোপ বাড়ছে। হাসপাতালে প্রতিদিন বাড়ছে রোগীর সংখ্যা।
অন্যদিকে কুয়াশা ও শীতের তীব্রতায় বিপাকে পড়েছে কৃষি শ্রমিক ও খেটে খাওয়া মানুষগুলো। হিমশীতল বাতাসে ঠান্ডার কবলে পড়েছে জেলার ১৬ টি নদ-নদী তীরবর্তী চর ও দ্বীপ চরের হতদরিদ্র মানুষগুলো।
চর কুড়িগ্রামের বাসিন্দা মর্জিনা বেগম বলেন, “সারা রাইত ঠান্ডার কারণে ঘুমবার পাই না, হামাক কাই দেখে বা।” অন্যদিকে, দিনমজুর আব্দুল করিম জানান, “রইদ নাই, ঠান্ডাত কাজ করতে কষ্ট হয়, কি করমো বাহে, ঘরত বসি থাকলে কাই খাবার দিবে?”
পরিবেশবিদদের মতে, জলবায়ুর পরিবর্তন ও উত্তরের শীতল হাওয়ার প্রভাবে এ ধরনের শৈত্য প্রবাহ ক্রমশ বেড়ে যাচ্ছে। এতে দরিদ্র জনসাধারণের জীবনযাত্রায় আরও চ্যালেঞ্জ তৈরি হচ্ছে।
কুড়িগ্রাম আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, এ মাসের ১৫ তারিখের পর কমপক্ষে ২টি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।