।। লাইফস্টাইল ডেস্ক ।।
সকলের অতি পরিচিত ও জনপ্রিয় একটি ফল হচ্ছে কলা। আমাদের দেশে ফল ও সবজি দুইভাবেই কলার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এটি স্বাস্থ্যকর এবং শক্তিদায়ক ফল। সুস্বাদু, পুষ্টিগুণসম্পন্ন ও সহজলভ্যতার কারণে কলা আমাদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় স্থান দখল করেছে।
তবে শীতে কলা খেলে উপকার নাকি ক্ষতি হতে পারে এ নিয়ে প্রায়ই আমরা দ্বিধা-দ্বন্দ্বে থাকি। অনেকে মনে করেন শীতে কলা খেলে ঠান্ডা লাগার আশঙ্কা বাড়ে এবং সর্দি-কাশি, ঠান্ডা আরও জাঁকিয়ে বসে।
শীতের মৌসুমে ডায়েটে কলা রাখার বিষয়টি নিয়ে বিশেষজ্ঞরা বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরেছেন। ভিটামিন, খনিজ, কপার, রাইবোফ্ল্যাভিন, ফোলেট, নিয়াসিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ এই ফল দেহের বিভিন্ন কার্যকারিতাকে সমর্থন করে। কলায় থাকা পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও ভিটামিন বি৬ বিভিন্ন ক্রনিক রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে। এছাড়া কলার ফাইবার হজম প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করে এবং শরীরে পানির ঘাটতি পূরণে সাহায্য করে।
শীতে কলা খাওয়ার উপকারিতা-
শক্তির উৎস: একটি কলা থেকে ১০০ ক্যালরি শক্তি পাওয়া যায়। শীতে শরীরের শক্তির চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় এটি তাৎক্ষণিক শক্তি সরবরাহ করতে পারে।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ: পটাসিয়ামসমৃদ্ধ কলা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।
শীতকালীন ব্যায়ামে উপকারী: যারা ঠাণ্ডার মধ্যেও শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকেন, তাদের জন্য কলা তাৎক্ষণিক শক্তি জোগাতে পারে।
তবে, কিছু ক্ষেত্রে শীতে কলা খাওয়ার সময় সতর্ক থাকতে হবে:
ঠাণ্ডাজনিত অ্যালার্জি: কলা শরীরে মিউকাসের মাত্রা বাড়াতে পারে। তাই ঠাণ্ডাজনিত অ্যালার্জি বা শ্বাসকষ্ট থাকলে কলা এড়িয়ে চলা উচিত।
ডায়াবেটিক রোগী: কলায় উচ্চমাত্রার প্রাকৃতিক চিনি থাকায় ডায়াবেটিক রোগীদের এটি সীমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত।
শীতের রাতে খাওয়া: রাতে কলা খাওয়া এড়িয়ে চলা ভালো। বিকেল বা সকালের দিকে খাওয়া উপকারী হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, শীত, গ্রীষ্ম বা বর্ষা—সব মৌসুমেই সুষম পরিমাণে কলা খাওয়া শরীরের জন্য ভালো। তবে এটি খাওয়ার পরিমাণ ও সময় নির্ভর করবে ব্যক্তির শারীরিক অবস্থা ও চাহিদার ওপর। সঠিক সময়ে সঠিক পরিমাণে খেলে কলা শীতকালেও স্বাস্থ্যের জন্য বিশেষ উপকারী হতে পারে।