।। নিউজ ডেস্ক ।।
আমরা অনেক সময় অতিরিক্ত ক্যালরিযুক্ত খাবার খেয়ে ফেলি। পরে মনে হয়, হয়তো এটা উচিত হয়নি। বিশেষত ওজন কমানোর জন্য ডায়েট করলে এমন খাওয়ার পর আফসোস আরও বাড়ে। তবে নিজেকে দোষারোপ বা অযথা চাপ নেয়ার প্রয়োজন নেই। কিছু সাধারণ নিয়ম মানলেই ওজন বৃদ্ধির ভয় কমানো সম্ভব।
অধিক ক্যালরিযুক্ত খাবারগুলো হচ্ছে লাল মাংস (গরু বা খাসি), মাখন, তেল, চর্বি, ফাস্ট ফুড, ভাজা খাবার, সালাদের ড্রেসিং, কেক, বিস্কিট, পনির, বাদাম, চকলেট, আইসক্রিম, ক্রিম, চিনিযুক্ত খাবার, বিরিয়ানি, তেহারি, ফ্রাইড রাইস, কোমল পানীয় ইত্যাদি।
ক্যালরিযুক্ত খাবার বেশি খাওয়ার পর করণীয়:
১. হাইড্রেটেড থাকুন: শরীর সুস্থ রাখতে হাইড্রেটেড থাকা জরুরি। ক্যালরিযুক্ত খাবার খাওয়ার পর বেশি করে পানি পান করুন। বিশেষজ্ঞদের মতে, পানি শরীর থেকে বাড়তি তরল বের করতে সহায়তা করে। সকালে ৫০০ মিলি পানি পান দিয়ে দিন শুরু করা ভালো।
২. উচ্চ ফাইবারযুক্ত খাবার খান: উচ্চ ফাইবারযুক্ত খাবার ক্যালোরি ঝরানোর গতি বাড়ায়, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে, হজম সহায়তা করে, এবং প্রদাহ কমায়। খাদ্যতালিকায় শাক-সবজি (ব্রোকলি, পালং শাক), ফল (বেরি, আপেল), পুরো শস্য (ওটমিল, কুইনোয়া), এবং ফ্ল্যাক্সসিড যোগ করুন। প্রতিদিন ২৫-৩০ গ্রাম ফাইবার খাওয়ার চেষ্টা করুন।
৩. চর্বিহীন প্রোটিন খাওয়ার অভ্যাস করুন: চর্বিহীন প্রোটিন পেটের চর্বি কমাতে সহায়তা করে। মুরগি, মাছ, ডাল এবং অন্যান্য চর্বিহীন প্রোটিন রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখতে সহায়তা করে এবং দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে। প্রতি কিলোগ্রাম শরীরের ওজন অনুযায়ী ০.৮-১ গ্রাম প্রোটিন খাওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা।
৪. খাবার এড়িয়ে যাবেন না: উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবার খাওয়ার পর অনেকে খাবার এড়িয়ে চলার ভুল করেন। এতে শরীরের বিপাকক্রিয়া ধীর হয়ে যায় এবং হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে। তাই পরবর্তী খাবারে অবশ্যই সুষম ও স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করুন।
উপরোক্ত নিয়মগুলো মেনে চললে ক্যালরিযুক্ত খাবার খাওয়ার প্রভাব সহজেই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।