।। নিউজ ডেস্ক ।।
কার্তিক মাসের শুরু থেকেই কুড়িগ্রামে শীতের আমেজ দেখা যাচ্ছে। মধ্যরাত থেকে সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত চারিদিক কুয়াশার চাদরে ঢেকে থাকে। রবিবার (১৭ নভেম্বর) জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
কুড়িগ্রাম-রংপুর, উলিপুর-রাজারহাট এবং চিলমারী-কুড়িগ্রাম সড়কে ঘন কুয়াশার কারণে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীরগতিতে চলাচল করতে দেখা গেছে। কাজের তাগিদে যারা ঘর থেকে বের হয়েছেন, তাদের অনেকে হালকা শীতের পোশাক পরেছেন। সন্ধ্যার পর থেকেই হিমেল বাতাস শীতের আগমনী বার্তা দিচ্ছে। তবে কুয়াশার কারণে পরিবেশ ঠান্ডা থাকলেও শীতের তীব্রতা এখনও সেভাবে অনুভূত হচ্ছে না।
পিকআপ চালক রবিউল ইসলাম জানান, “উলিপুরে সকাল সাড়ে ৬ টায় পিকআপে মাল নিয়ে বের হয়েছি দেড় ঘণ্টায় রংপুর শহরে পৌঁছানোর কথা থাকলেও ঘন কুয়াশার কারণে মনে হয় দুই ঘণ্টায়ও পৌঁছাতে পারবো না। রাস্তা দেখা যাচ্ছে না তাই ধীর গতিতে গাড়ি চলাচল করতে হচ্ছে।”
এদিকে, শীত ও ঘন কুয়াশা নিয়ে কৃষকদের দুশ্চিন্তা বেড়েছে। কৃষক লুৎফর রহমান জানান, “আগাম জাতের আলু লাগিয়েছি। কিন্তু বেশি কুয়াশা হলে আলুর গাছ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা আছে।”
রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, রবিবার কুড়িগ্রামের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সকালে বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৮ শতাংশ এবং বাতাসের গতিবেগ ছিল উত্তর দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১০ কিলোমিটার।
তিনি আরও জানান, আজ (রবিবার) দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে নওগাঁর বদলগাছিতে, যা ছিল ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।