।। নিউজ ডেস্ক ।।
উলিপুরে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি কমায় তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত এক মাস ধরে উপজেলার দুর্গম সাহেবের আলগা ইউনিয়নের হবিগঞ্জ-খেয়ারচর পর্যন্ত প্রায় আড়াই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ভয়াবহ ভাঙনে ভিটেমাটি হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে অনেক মানুষ। ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে একটি বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র, সাড়ে ৯’শ বিঘা ফসলি জমিসহ প্রায় তিনথশ বসতবাড়ি। মাথা গোঁজার ঠাঁই হারিয়ে এসব পরিবার সর্বশান্ত হয়ে গেছে।
এ ছাড়াও ভাঙনের হুমকির কবলে রয়েছে নামাজের চর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র, নামাজের চর মহাবিদ্যালয়, গেন্দার আলগা স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সাহেবের আলগা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কাতলামারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গুচ্ছগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তর নামাজের চর কমিউনিটি ক্লিনিক, উত্তর নামাজের চর নূরাণী ও হাফিজিয়া মাদরাসা, উত্তর নামাজের চর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদসহ পাঁকা সড়ক।
গেন্দার আলগা স্কুল অ্যান্ড কলেজের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী ইরিকা খাতুন (১২) বলেন, আমাদের এই জায়গাটাতে অনেক মানুষ বসবাস করতো। নদের ভাঙনে সবাই এখন ভিটেমাটি হারা। এখনও নদী ভাঙছে আমরা কোথায় যাব তা এখনও ঠিক হয়নি। নদী ভাঙনের ফলে আমাদের স্কুল হুমকির মুখে, স্কুল ভেঙে গেলে আমরা কোথায় পড়ব। অনেক ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, অনেক গরীব অনেক মানুষ তারা অনেক কষ্ট করে ফসল উৎপাদন করছে নদী ভাঙনের ফলে তাদের অনেক ক্ষতি হচ্ছে।
ইউপি চেয়ারম্যান মোজাফ্ফর হোসেন বলেন, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি কমে যাচ্ছে, কিন্তু ভাঙন কমছে না। এখানে আবাদী জমি-বাড়িঘর ভেঙে যাচ্ছে। এখানকার মানুষ অনেক কষ্ট করে বসবাস করছে। ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কর্মকর্তাকে অবগত করেছি। কিন্তু তারা ভাঙন রোধে কাজ করার আশ্বাস দিলেও এখনও কোন কাজ শুরু হয়নি।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান বলেন, ভাঙন রোধে সময়িক সময়ের জন্য কোন বরাদ্দ নেই। তবে ভাঙন কবলিত এলাকার নোট দেওয়া আছে বরাদ্দ আসলে কাজ করা হবে।