।। নিউজ ডেস্ক ।।
জনবল সংকট ও তদারকির অভাবে উলিপুর শিক্ষা অফিসের নাজুক পরিস্থির সৃষ্টি হয়েছে। বারবার সংশ্লিষ্ট দপ্তরে বিষয়টি অবগত করা হলেও বিষয়টি আমলে নেয়নি ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষ। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কিছু অসাধু প্রধান শিক্ষক খেয়াল খুশি মতো স্কুল পরিচালনা করে আসছেন। ফলে এসব কারণে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে পাঠদান বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে।
জানা গেছে, উলিপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসে একজন শিক্ষা কর্মকর্তা ও নয়জন সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা থাকার কথা। কিন্তু শিক্ষা কর্মকর্তাসহ ছয়জন কর্মকর্তার পদ শূন্য রয়েছে। উচ্চমান সহকারী ও অফিস সহায়ক পদটিও শূন্য রয়েছে বলে জানা গেছে। এ ছাড়া ২৬৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ১০০ জন প্রধান শিক্ষক ও ৪০ জন সহকারী শিক্ষকের পদও দীর্ঘদিন ধরে শূন্য। এই পরিস্থিতিতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দাপ্তরিক কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে কয়েকজন প্রধান শিক্ষক বলেন, সহকারী শিক্ষা অফিসার (এটিও) না থাকার কারণে প্রতিষ্ঠানগুলো যথাযথভাবে তদারকি হচ্ছে না। তা ছাড়াও বিভিন্ন দাপ্তরিক কার্যক্রমের জন্য অফিসে গেলেও কাঙ্খিত সেবা মিলছে না। এই সুযোগটি কাজে লাগিয়ে অনেকে খেয়াল খুশিমত বিদ্যালয় পরিচালনা করে আসছেন বলেও জানায় সূত্রটি।
সহকারী উপজেলা শিক্ষা ফরহাদ হোসেন খন্দকার বলেন, দশ জনের কাজ কখনও চারজন দিয়ে হয় না। নয়জন সহকারী শিক্ষা অফিসার থাকলে যেখানে মাসে ৯০টি বিদ্যালয় পরিদর্শন হতো, সেখানে এখন হচ্ছে মাত্র ৪০টি।
ভারপ্রাপ্ত উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নার্গিস ফাতিমা তোকদার বলেন, এ উপজেলায় ২৬৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ৪০ ভাগ জনবল দিয়ে এত বড় উপজেলা পরিচালনা করতে আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। জনবল সংকটের বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অবগত রয়েছেন।