।। নিউজ ডেস্ক ।।
রাজারহাটে দুচোখে আবারও পৃথিবী দেখতে চায় মিলন। দু-চোখের দৃষ্টি হারিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে এক সন্তানের জনক মিলন মিয়া (২৩)। অভাবী সংসারে অর্থের অভাবে ডান চোখের চিকিৎসা না হওয়ায় ইনফেকশনে বাম চোখেরও দৃষ্টি হারিয়ে যায়। মিলন মিয়া রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়াল ডাঙ্গা ইউপির খিতাব গ্রামের কুড়ারপাড় মিয়া পাড়া গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের পুত্র।
মিলন মিয়া বলেন, ২০১৬ সাল থেকে সূর্য্য উদয় ও সূর্য্যাস্তসহ পৃথিবীর কোন কিছুই দেখতে পাইনা। অন্ধ হয়ে দুনিয়াতে বসবাস করতেছি এখন। বাবা-মা কিংবা স্ত্রীর সহযোগিতায় চলাফেরা করতে হচ্ছে আমার। দুনিয়াটা আর দেখতে পাব কিনা সেটাও জানি না। মিলন আরও জানান, আমি চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র থাকাকালীন সময়ে সহপাঠিদের সঙ্গে ফুটবল খেলতে গিয়ে খেলার মাঠে ডান চোখে বাশেঁর কঞ্চি ডুকে যায়। তখন আমি শুধু বাম চোখে দেখতে পাই। ডান চোখে ইনফেকশন হলে রংপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আমাকে ভর্তি করান বাবা। অর্থের অভাবে সঠিক সময়ে সুচিকিৎসা না হওয়ায় বাম চোখেও এখন দেখতে পাই না। আমি এখন পুরোপুরি অন্ধ হয়ে গেছি। অন্ধ হওয়ায় কাজ কর্ম করতে পারিনা। অন্ধ মানুষকে কেউ কাজেও নিতে চায় না, আমার শুধু প্রতিবন্ধী ভাতা আছে। আমরা অন্যের জায়গায় দুটি ঘরে বসবাস করছি। অন্যের জায়গায় থাকতেও কষ্ট হয়। চোখে দেখতে পারলে হয়ত পড়ালেখা কিংবা দিনমজুরের কাজ করে পরিবারের চাহিদা পুরন করতে পারতাম কিন্তু হতভাগা কপালে সেটাও নেই। আমি সুর্যোদয় ও সুর্যাস্ত দেখতে চাই।
মিলনের মা মমেনা বেগম বলেন, ছেলেটা অন্ধ, দুটি চোখেই দৃষ্টি হারিয়ে ফেলেছে। আমরা অন্যের জমিতে আশ্রিতা, আমাদের ২টা ঘর, তার মধ্যে একটি রান্নাঘর। মিলনের বাবা দেলোয়ার হোসেন বলেন, আমি অটোরিকশা চালিয়ে সংসারের খরচ জোগাই। টাকার অভাবে সময়মত চিকিৎসা করাইতে পারিনি। মিলনের চিকিৎসার জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন। ছওয়াটার চিকিৎসার জন্য বাবা হিসেবে আমি সহযোগিতা চাই।